শাপলা প্রতীক না দেওয়ায় ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল এনসিপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হলেও, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তকে ঘিরে নতুন বিতর্কে জড়িয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি তাদের পছন্দের প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চাইলে, কমিশন নানা সময়ে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে এনসিপি।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এনসিপি ইসির সিনিয়র সচিবের কাছে জমা দেওয়া আবেদনে জানায়, গত জুনে কমিশনের এক সদস্য তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে নতুন খসড়া তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীক রাখা হবে। আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতেই এনসিপি নিবন্ধনের আবেদন করে। কিন্তু ৯ জুলাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, ‘শাপলা’ জাতীয় প্রতীক হওয়ায় এটি কোনো রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না।
এনসিপি যুক্তি দেয়, বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকে ধানের শীষ, তারকা, পাট পাতা ও শাপলা ফুল রয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি ‘ধানের শীষ’, জেএসডি ‘তারকা’, জাতীয় পার্টি ‘কাঁঠাল’ এবং তৃণমূল বিএনপি ‘সোনালি আঁশ’ প্রতীক পেয়েছে। তাহলে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আইনি দিক থেকে টেকসই নয়।
বিজ্ঞাপন
দলটির দাবি, সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার শাপলা প্রতীক না দেওয়ার আরেকটি যুক্তি তুলে ধরেন। কিছু রাষ্ট্রীয় সংস্থা, যেমন ডিজিএফআই এর লোগোতে শাপলা রয়েছে। তবে এনসিপি পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলে, বাংলাদেশ পুলিশের লোগোতে ধানের শীষ, বিমান বাহিনীর লোগোতে ঈগল এবং সুপ্রিম কোর্টের লোগোতে দাঁড়িপাল্লা থাকলেও ইসি অতীতে সেসব প্রতীক রাজনৈতিক দলকে বরাদ্দ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে শাপলা প্রতীক আটকানো বৈষম্যমূলক ও পক্ষপাতমূলক।
এনসিপি মনে করছে, এর পেছনে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের চাপ কাজ করছে। তারা বলছে, মাঠ পর্যায়ের যাচাই শেষে তাদের নিবন্ধন মঞ্জুর হলেও পছন্দের প্রতীক না দেওয়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক মনোভাবের প্রতিফলন।
বিজ্ঞাপন
দলটি আশা করছে, ইসি প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে ‘শাপলা’, ‘সাদা শাপলা’ অথবা ‘লাল শাপলা’ প্রতীকের যেকোনো একটি বরাদ্দ দেবে। তাদের মতে, এমন সিদ্ধান্তই কেবল একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হতে পারে।








