মুরাদনগরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ব্যক্তি কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায়

তাকে উদ্ধার করতে মনির এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে নীলাফুলা যখম করে।
বিজ্ঞাপন
মুরাদনগর (কুমিল্লা )প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে মোঃ বাবু(৩৮) নামের এক ব্যক্তি। গত ২৭ আগস্ট সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়ে বর্তমানে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) এ ঘটনায় মোঃ আলমগীর হোসেন মনির(৩৫) রাতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোঃ বাহার মিয়া(৩০), মোঃ মালু মিয়া(৪০), মোবারক মিয়া(২৫) ও মোঃ কালু মিয়া(২৭) সহ সঙ্গীয় দল মোঃ আলমগীর হোসেন মনির ও মোঃ বাবু অটোরিকশা যোগে আসবে তথ্য পেয়ে আগে হতেই আক্রমণ করার পরিকল্পনা সাজায়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
কড়ইবাড়ী যাওয়ার পথে আন্দিকোট মন্দিরের উত্তর পাশের জঙ্গলে পৌঁছালে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর আক্রমণ শুরু করে। বাবুর মাথায় ও বাম চোখের পাশে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলে লুটিয়ে পরে যায় মাটিতে। বাবুর সাথে বহন করা ৩৫,৭০০ টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ রয়েছে। তাকে উদ্ধার করতে মনির এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে নীলাফুলা যখম করে।
গলায় ছুরি ধরে হাতে পরিধেয় স্বর্ণের ব্রেসলেট ও পকেট হতে ৩লক্ষ ৮০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন মনির। সম্পূর্ণ ঘটনা মোবাইলে ধারণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোঃ মাসুম সরকারের(৩৫) মোবাইল ভেঙে ফেলে ইয়াছিন মিয়া(২৭) এবং তার পকেট হতে মোঃ রাশেদ মিয়া(২৫) নগদ ৫হাজার টাকা ছিনতাই করার অভিযোগও পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তাদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন আসাতে হামলাকারী দলটি থানায় অভিযোগ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তখন বাবুর অবস্থা আশংকাজনক দেখে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, মাথার কেটে যাওয়া অংশে সেলাই করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা যখম সহ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ভর্তি হাসপাতালে করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাহার, মালু, কালু ও ইয়াছিনের মোবাইলে ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি(তদন্ত) অমর চন্দ্র দাশ বলেন, বুধবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরএক্স/








