পটুয়াখালীতে নলকূপ থেকে বের হচ্ছে গ্যাস, চলছে রান্না

স্থানীয় প্রশাসন খবর পেয়ে এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাল নিশান সাঁটিয়ে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপায় বসতবাড়ির নলকূপের পাইপ থেকে বের হচ্ছে গ্যাস আর এই গ্যাসের সাহায্যে হচ্ছে রান্না। ।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর আমখোলা গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম লাহরীর বাড়িতে স্থাপিত গভীর নলকূপের পাইপ দিয়ে ১০ অক্টোবর থেকে এ গ্যাস বের হচ্ছে। এ ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানায়, গত ৮ অক্টোবর জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয় এবং ১০ অক্টোবর থেকে ওই নলকূপের পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হওয়া শুরু করে। তবে নলকূপ চাপলে বের হচ্ছে খাবার পানিও। স্থানীয় প্রশাসন খবর পেয়ে এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাল নিশান সাঁটিয়ে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মো. জাহাঙ্গীর আলম লাহরী গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রথমে বুঝতে পারিনি। দেখি ওখানে (টিউবওয়েল) বুদ বুদ শব্দ হচ্ছে। বুদ বুদ বন্ধ করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। পরে আগুন দিলে জ্বলছে। তখন বুঝলাম গ্যাস বের হচ্ছে। খবর পেয়ে লোকজন ছুটে আসে গ্যাস দেখতে। পরে উপজেলা প্রশাসন এসে লাল নিশানা দিয়ে স্থানটি ঘিরে দিয়েছে।”
বিজ্ঞাপন
গৃহবধূ রোজিনা আক্তার ও কুলসুম বেগম জানান, গ্রামে বসবাস করেও গ্যাসে রান্না করছি। এটা খুব ভালো লাগছে। তবে প্রশাসনের উচিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা। এখানে কি পরিমাণ গ্যাস আছে এবং এর ভবিষ্যৎ কি? এটা যদি সত্যিই গ্যাস হয়ে থাকে তাহলে দেশ ও আমরা এলাকাবাসী লাভবান হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: মনপুরায় রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাটের বেহাল দশা
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জামাল সরদার জানাআন, টিউবওয়েল বসানোর পরই এখানে গ্যাস পাওয়া গেছে। সরকারিভাবে পরীক্ষা করা হয় তাহলে বোঝা যাবে এটা কিসের গ্যাস। যদি সত্যিই গ্যাস হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সবার জন্যই মঙ্গল।
বিজ্ঞাপন
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, “তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বাড়ির বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে এবং তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি








