স্বর্ণালংকারের লোভে নাতনীর হাতে খুন হন মমতাজ বেগম

নাটোরের বড়াইগ্রামে বৃদ্ধা মমতাজ বেগম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের নাতনী ফাউজিয়া খাতুন (১৯) ও তার স্বামী মিনারুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও স্বর্ণালংকারের লোভে নাতনী ফাউজিয়া এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, নিহত মমতাজ বেগমের প্রতিবেশী ও নাতনী ফাউজিয়া তার দ্বিতীয় স্বামী মিনারুলকে নিয়ে নাটোর শহরে বসবাস করত। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ থাকায় মাঝে মাঝে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসে সে রাতে দাদির বাড়িতে থাকত। এ সময় দাদির গয়নার প্রতি তার লোভ জন্মে। এছাড়া, বাড়িতে থাকার সুযোগে ফাউজিয়া মাঝে মাঝে দাদির জিনিসপত্র চুরি করত। এসব ঘটনায় দাদি মমতাজ বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন এবং স্বামী সম্পর্কেও নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এতে দাদির প্রতি ফাউজিয়ার ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার দিন (৫ অক্টোবর) রাতে ফাউজিয়া আবারও দাদির বাসায় গেলে তার দাদির সঙ্গে কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয। একপর্যায়ে সে রাগে ঘরে থাকা মেটাল টর্চলাইট দিয়ে দাদির মুখে আঘাত করে। এতে বৃদ্ধা মেঝেতে পড়ে গেলে ফাউজিয়া ক্রমাগত আঘাত করতে থাকে। মমতাজ বেগম অচেতন হয়ে পড়লে তার শরীরে থাকা তিন ভরি স্বর্ণালংকার খুলে নিয়ে পালিয়ে যায় ফাউজিয়া।
পরে বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে ঢাকায় পালানোর সময় নাটোর শহরের বড় হরিশপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ফাউজিয়া ও মিনারুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া চুরি যাওয়া কানের দুল ও হাতের আংটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাউজিয়া হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।








