এবার যে কড়া বার্তা দিলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ২৪শে আগস্ট ২০২৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষা-২০২৪ সামনে রেখে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, নকল রোধে এবার পরীক্ষার হলেই নিতে হবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা এবং তা যথাযথভাবে লালকালিতে চিহ্নিত করে প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। একইসঙ্গে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর হাজিরাপত্রে লালকালিতে ‘বহিষ্কৃত’ লেখা হবে এবং রিপোর্ট ফরমে বহিষ্কারের কারণ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে। শুধু তাই না, নকল করা শিক্ষার্থীদের খাতাও প্যাকেট করতে হবে আলাদাভাবে।
আরও পড়ুন: মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা
রবিবার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামূল করিমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার সময় কক্ষ পরিদর্শক নিশ্চিত করবেন যে, পরীক্ষার্থী ওএমআর ফরমে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং বিষয়কোড সঠিকভাবে পূরণ করেছে কি না। ভুল তথ্য থাকলে সংশ্লিষ্ট স্থানে লালকালিতে ‘অনুপস্থিত’ লিখতে হবে।
আবার উত্তরপত্রের ওএমআর ফরম এবং বান্ডেল সাবধানতার সঙ্গে ক্রমানুসারে সাজিয়ে করোগেটেড বক্সে প্যাকেট করতে হবে। বান্ডেলের লেবেল অনুযায়ী প্যাকেটের ভেতরে অন্য কোনো বিষয় থাকা যাবে না। বান্ডেল পলিথিন ও বেগুনি কাপড়ে মুড়িয়ে পরীক্ষা কোড ২২০১ উল্লেখ করে পাঠাতে হবে। বহিষ্কৃত উত্তরপত্র আলাদাভাবে প্যাকেট করে লালকালিতে ‘বহিষ্কৃত’ লেখা আবশ্যক।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিদিনের পরীক্ষার উপস্থিত, অনুপস্থিত ও বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর তথ্য অনুযায়ী টপশিট তৈরি করে কলেজে সিলগালা অবস্থায় সংরক্ষণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময়ে যাচাইয়ের জন্য টপশিট তলব করতে পারবে। আর এসব উত্তরপত্র আলাদা প্যাকেট করে পাঠাতে হবে অনার্স ১ম বর্ষ শাখার অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুস সামাদের কাছে।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত পরীক্ষার্থীদের বিবরণী অনুযায়ী সব পরীক্ষার্থীর হাজিরাপত্র তৈরি করে অনলাইনে পাঠানো হবে এবং বিবরণীতে উল্লিখিত পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ, বিষয় ও পত্রকোড হাজিরাপত্রে লেখা থাকবে। পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী বিষয় ও পত্রকোড মিলিয়ে উত্তরপত্রের ক্রমিক নং যথাযথভাবে লিখেছে কি না তা যাচাই করে পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ছবির সঙ্গে তার চেহারার মিল আছে কি না, তা যাচাই করে হাজিরাপত্রে পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন। কোনো অবস্থাতেই একজন পরীক্ষার্থীর জন্য একাধিক হাজিরাশিট তৈরি করা যাবে না। আর সব পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৭ দিনের মধ্যে হাজিরাপত্র বই আকারে বাইন্ডিং করে সংশ্লিষ্ট শাখায় অবশ্যই জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পাঁচ বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত হলেন ৭১ জন শিক্ষক
সেইসঙ্গে ভুল ওএমআরগুলো আলাদাভাবে সাজানো বা আলাদাভাবে প্যাকেট করার প্রয়োজন নেই বলেও এতে জানানো হয়েছে। নতুবা তৈরি করা প্যাকেট পলিথিন শিট দিয়ে মুড়িয়ে বেগুনি মার্কিন কাপড় দিয়ে চূড়ান্ত প্যাকেট তৈরি করে গালাসিল করে তারিখ অনুযায়ী কেন্দ্রে সংরক্ষণ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসডি/