ইবি ক্যাম্পাস যেন মাদক সেবনের উত্তম স্থান
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২

ফাইল ছবি
‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন মাদক সেবন ও বেচা-কেনার জন্য উত্তম স্থান। কারণ ক্যাম্পাস পুলিশ বা গোয়েন্দাদের তেমন কোনো ঝামেলা নেই। বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই চলছে মাদক কেনা বেচা। কথাটি বললেন একজন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মাদকসেবী শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যখন নেশায় থাকি বা মাদক সেবনের প্রয়োজন হয়, তখন আমরা ডিলারকে ফোন করি। ডিলার ক্যাম্পাসে এসে মাদক দিয়ে যান। তবে তার সঙ্গে খুব সীমিত সংখ্যক মানুষের যোগাযোগ হয়। সবার কল তিনি রিসিভ করেন না।’
২৩ মে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী মধ্যরাতে মাত্রাতিরিক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করায় মাঠেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
ইবি প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৯ মে) আশিকের মা তাহমিন চৌধুরীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।
মাদকের ভয়াবহ ছোবলের বিষয়ে কথা হয় বেশ কয়েকজন মাদকসেবীর সঙ্গে। তারা জানান, ‘শুধু ছাত্ররাই নয়। বেশ কয়েকজন ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারীরাও মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত। গাঁজা কিংবা ইয়াবাতো মামুলি ব্যাপার। নাম না জানা আরো বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবহার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক হোল্ডাররা। এর মধ্যে রয়েছে স্ন্যাক শট, ওয়াইন, এলএসডিসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু হলের সামনের পুকুর পাড়, মাঠের বিভিন্ন স্থান, হলের বিভিন্ন কক্ষ, ছাদ, ইবি লেক সংলগ্ন এলাকাসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবনের আড্ডা চলে বলে জানা গেছে। চারদিকে মাদকের সয়লাবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। মাদকে জড়িয়ে কেউ কেউ মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছেন আবার কেউ মাত্রাতিরিক্ত নেশা করে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বলছেন, মাদকাসক্তদের বড় একটি অংশ মাদকের টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। ভাতের টাকা বাঁচিয়ে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করেন মাদকসেবীরা। তাদের ভয়ে রাতের ক্যাম্পাসে ঘুরতে ভয় লাগে, যদি ছিনতাইয়ের শিকার হই।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি সচেতন না হয়, কঠোর পদক্ষেপ নিয়েও মাদক বন্ধ করা কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকবিরোধী আন্দোলন তৈরি করার।
জি আই/