কিডনি জটিলতায় ৯৯ শিশুর মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, ২০শে অক্টোবর ২০২২

এবার ইন্দোনেশিয়াতে কিডনি বিকল হয়ে শিশুদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর কিডনি জটিলতায় ভুগে ৯৯ জন শিশু মারা গেছে ইন্দোনেশিয়ায়।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুরুতর কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছে ২০৬ জন শিশু, তাদের মধ্যে ৯৯ জন মারা গেছে। আক্রান্ত ও মৃত এই শিশুদের সবার বয়স ৫ বছরের মধ্যে এবং তাদের ৬৫ শতাংশই রাজধানী জাকার্তা ও তার আশপাশের এলাকার।
গাম্বিয়ায় মৃত ৭০ শিশুদের মৃত্যুর কারণ অবশ্য ইতোমধ্যে উদ্ঘাটিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সর্দিকাশি ও ঠাণ্ডাজ্বরের চারটি সিরাপে অতিরিক্ত মাত্রার ডায়াথিলিন গ্লাইকল ও এথেলিন গ্লাইকল থাকার জেরেই কিডনি বিকল হয়ে মারা গেছে এই শিশুরা। এসব সিরাপের প্রস্তুতকারী ভারতীয় কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার সরকারের দাবি—যেসব সিরাপ সেবনের কারণে গাম্বিয়ার শিশুরা মারা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার শিশুদের মৃত্যুর জন্য সেই সিরাপগুলো দায়ী নয়।
কারণ দেশটির ওষুধের বাজারে মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের ওই চারটি কাশির সিরাপের কোনো অস্তিত্ব নেই; বরং যেসব উপাদান দিয়ে মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস সিরাপ প্রস্তুত করেছে, সেসব উপাদানের কয়েকটি ইন্দোনেশিয়া নিষিদ্ধ বলেও এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন ইন্দোনেশিয়ার খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার এক কর্মকর্তা।
তবে মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের সিরাপ না হলেও অন্য কোনো কোম্পানির সিরাপ এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে ধারণা করছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ সায়াহরিলের বক্তব্যেও তার আভাস পাওয়া গেছে।
মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ইন্দোনেশিয়ার শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে বুধবার জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে সায়াহরিল বলেন, ‘কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুর করে দিয়েছে এবং মন্ত্রণালয় থেকে সব শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে— কোনো শিশুকে যেন তরল বা সিরাপজাতীয় কোনো ওষুধের ব্যবস্থাপত্র না দেওয়া হয়।’
জেবি/ আরএইচ/