বুয়েটের বর্তমান প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, ২০শে মার্চ ২০২৩


বুয়েটের বর্তমান প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
বুয়েটের বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর বর্তমান প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার (১৮ মার্চ)বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পলাশি’র ইসিই ভবনের রাইজ কনফারেন্স রুমে বুয়েটের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (রাইজ)-এর উদ্যোগে রিসার্চ গ্র্যান্ট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, “বুয়েটে বর্তমান প্রশাসন অনেক নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তাই এখন বুয়েটে আসলে ভাল লাগে। বুয়েট ইন্ড্রাস্ট্রি ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা মাধ্যমে ফান্ড তৈরি করে সেগুলো গবেষণা খাতে ব্যয়, শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহিত করছে। এজন্য বুয়েটের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ অন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই। বুয়েটকে সবাই এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন বলে। তবে, যে যেখানেই থাকুক, ইচ্ছা থাকলেই দেশের জন্য কাজ করা যায়। আমি চাইবো বুয়েটে অ্যালামনাইগণ তাদের বিদ্যাপীঠের উন্নতির জন্য এগিয়ে আসবেন।”


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জনাব সত্যজিৎ কর্মকার বিশেষ অতিথি ও বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 


উক্ত অনুষ্ঠানে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (রাইজ)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া বুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইশরাত ইসলাম, বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মোহাম্মদ রেজাউল করিম, এসিআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আরিফ দৌলা ও ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন।


সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, “আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ইন্ড্রাস্ট্রির সঙ্গে  কোলাবরেশন করে তাদের আরএনডি (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ফান্ড থেকে ফান্ড আনার উদ্যোগ নেই। পর্যায়ক্রমে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ফান্ড সংগ্রহ করে সেগুলো গবেষণা খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ হলো লোকাল ইন্ড্রাস্ট্রিকে সাপোর্ট দেয়া এবং একই সময়ে আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের ধরে রাখা।” 


প্রধানমন্ত্রীর বুয়েটের প্রতি আস্থা আছে উল্লেখ করে উপচার্য বলেন, “সংসদ ভবন থেকে একবার আমাকে জানানো হলো, সেখানে কোনো একটা ত্রুটি হয়ে পানি পড়ছে। এটি সমাধানে কোনো কেন বুয়েটকে জানানো হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জেরা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আমাদের এখান থেকে দু’জন শিক্ষক পাঠিয়ে সেটা সমাধান করা হয়েছে। বুয়েটের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যে আস্থা তার প্রতিদান আমরা দিতে চাই।”


গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন বলেন, “বুয়েট ২০২১-২২ অর্থ বছরের গবেষণায় বরাদ্ধের ৯৫ শতাংশ ও চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ৯২ শতাংশ ব্যয় করেছে। আমরা দেখি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের গবেষণায় বরাদ্ধ অর্থ ব্যয় করতে পারে না। কিন্তু আমরা ব্যয় করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাচ্ছি না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।” এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করে পরিকল্পনা বিভাগের সম্মানিত সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।


উল্লেখ্য, বুয়েট রাইজের মাধ্যমে গবেষণা প্রস্তাবনা আহ্বান করে। এতে ৩২টি গবেষণা প্রস্তাবনা জমা পড়ে। সেখান থেকে বাঁচাই করে সময় উপযোগী, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় সহায়ক ১০টি প্রস্তাবনায় অর্থায়ন করা হয়। প্রতিটি গবেষণা প্রজেক্টের বিপরীতে ২০ লাখ টাকা করে সর্বমোট ২ কোটি টাকা রিসার্চ গ্র্যান্ট প্রদান করা হয় এদিন। এরআগে রাইজের মাধ্যমে গত মাসে বুয়েটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের ৭২টি গবেষণা প্রস্তাবনার বিপরীতে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল।