নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই: মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, ২৫শে এপ্রিল ২০২৩

নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা যাকে চিনি না, যাকে জানি না, যার সম্পর্কে বেশি কিছু বলতেও পারি না; এমন একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে। জনগণের কাছেও তার নামটা একেবারে পরিচিত ছিল না। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে রাষ্ট্রপতির অবদান রাখার সুযোগ আছে। কিন্তু নতুন রাষ্ট্রপতি কতটা করবেন, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোপকালে বিএনপি মহাসচিব নতুন রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে এ প্রতিক্রিয়া দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যদি চাইতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার গঠন করবে, তাহলে রাষ্ট্রপতি নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে পারতো। যাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়েছে, হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিতভাবেই তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের পদে এসেছেন। জনগণের কাছে তিনি পরিচিত নন।
নতুন রাষ্ট্রপতি সরকারপ্রধানের খুবই আস্থাভাজন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি যেভাবে আসুন, তিনি রাষ্ট্রপতি। তার ভূমিকা দেখার বিষয়। যে প্রক্রিয়ায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি সরকারপ্রধানের খুবই আস্থাভাজন। সরকার আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়।
তিনি বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নিলেন। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক। প্রধানমন্ত্রী ও বিচারপতি নিয়োগই তার প্রধান কাজ। সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত থাকে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও বর্তমান পরিস্থিতিতে তার গুরুত্ব কম নয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার ভূমিকা খাটো করে দেখার কিছু নেই।
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ খুব ভালো মানুষ ছিলেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যদিও তার কাছেও আমাদের কোনো প্রত্যাশা ছিল না। তিনি খাঁটি আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। তবে মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন প্রাণোবন্ত মানুষ ও পজিটিভলি সবকিছু দেখতেন। তার দিক থেকে তিনি কতটাইবা করতে পারতেন, সেটাও সবারই জানা।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে- দলের এমন প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা হওয়া উচিত। একটা ব্যক্তির কাছে সর্বময় ক্ষমতা থাকতে পারে না। সেজন্যই আমরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য করার কথা বলছি।