স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ করবে বিএনপি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, ১১ই জুলাই ২০২৩


স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ করবে বিএনপি
ফাইল ছবি

নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ঢাকায় আগামীকাল বুধবার (১২জুলাই) স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত বিএনপি। ইতোমধ্যে দলটির শীর্ষ নেতারা সমাবেশে সর্বাত্মক উপস্থিতি নিশ্চিতে মহানগর, থানা, ওয়ার্ড এবং ইউনিট পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সমাবেশ থেকে সরকার পতনের একদফা ঘোষণা আসতে পারে। 


যদিও ক্ষমতাসীন দলের  শীর্ষ নেতারা বলছেন এটি ২০১৩ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষণারই পুনরাবৃত্তি। বিদেশী মেহমানদের ঢাকা থাকা অবস্থায় তাদের এই ধরনের সমাবেশ রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজী ছাড়া কিছু নয়। বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এমন সময় সমাবেশটির ডাক দিয়েছে যখন আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে। 


নয়াপল্টনে আয়োজিত এই সমাবেশের অনুমতি নিতে সোমবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক-এর কাছে লিখিত আবেদন করে। তবে পুলিশ তাদের মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছে বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া।  


বিএনপি নেতারা বলছেন, এই সমাবেশ থেকেই সরকার পতনের ‘এক দফা’র আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার ওই সমাবেশে নিজেদের সর্বাত্মক সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থন দেখাতে চাইছে দলটি। সরকারের পদত্যাগ ও চলমান সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তার অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ আন্দোলন শুরু করবে বিএনপি। 


আরও পড়ুন: নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক


আগামীকালের জনসমাবেশে কেমন শোডাউন হতে পারে জানতে চাইলে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ জানান, বুধবারের সমাবেশ হবে স্মরণকালের সর্বোবৃহৎ সমাবেশ। এই সমাবেশে থেকেই আসবে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের ঘোষণা। 


দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, নয়াপল্টনের বুধবারের সমাবেশ হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। ইতোমধ্যে উৎসুক নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছেন। কারণ পূর্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে, বিএনপি সমাবেশের ডাক দিলে সরকার বাস ধর্মঘটের ডাক দেয়। সেকারণে আগে থেকেই নেতাকর্মীরা ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে রওনা দিয়েছে। এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু হবে। এতে সর্বাত্মক হরতাল, অবরোধ ও ঘেরাও কর্মসূচী থাকতে পারে।      


বুধবারের সমাবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ সমাবেশ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দল যার যার অবস্থান থেকে এক দফার আন্দোলন ঘোষণা দেবে। তবে কী ধরনের কর্মসূচি আসবে তিনি সে বিষয়ে কিছু বলেননি।


দলীয় সূত্র জানায়, বুধবারের সমাবেশ সফল করতে ঢাকা বিভাগের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা ও অঙ্গ সংগঠনকে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ লোক জড়ো করতে নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি। এরই মধ্যে ঢাকা বিভাগীয় বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে আলাদা ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল সোমবারও নেতাদের সঙ্গে এ ধরনের সভা অনুষ্ঠিত হয়।


জেবি/ আরএইচ