প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এককাতারে

বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সেই সাথে আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে জয়যুক্ত করা ও শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সকল মনোনয়নপ্রত্যাশী ও আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেছেন।

এ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে সারাদেশে সমাবেশের নামে বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। 

এছাড়াও জামায়াত শিবির ও রাজাকাররা যাতে কোনভাবে ক্ষমতায় না আসতে পারে সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পুনরায় নির্বাচিত করার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দর্শনা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সমাবেশে করেন চুয়াডাঙ্গা- ২ আসনের সকল নেতাকর্মীরা। 

এ সমাবেশে  চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ। 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা- ২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনয়নপ্রত্যাশী ও দৈনিক সকালের সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক নূর হাকিম, সাবেক ছাত্রনেতা, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এয়ার কমোডর (অব.) আবু বকর, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডক্টর হামিদুর রহমানসহ চুয়াডাঙ্গা- ২ আসনের সকল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠন বৃন্দ।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও দৈনিক সকালের সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক নূর হাকিম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের মানুষ ভালো থাকে। বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন বোঝে না। তারা জ্বালাও-পোড়াও ছাড়া আর কিছুই জানে না। 

তিনি আরোও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দুর্নীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছিল। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাই বিএনপি-জামায়াতকে জনগণ আর ভোট দেবে না। তাই তারা আবারো নাশকতা-আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র, অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা- ২ আসনের সকল আওয়ামী লীগ এক কাতারে। আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিএনপি-জামায়াত দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে পদে পদে নানামুখি ষড়যন্ত্র করে চলছে। এই বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, উন্নয়নে বিশ্বাস করে না, তারা পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী। যারা পাকিস্তানি মতাদর্শে বিশ্বাসী তাদেরকে এই দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশ থেকে বলা হয়, ’৭২-এর সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। তাদের এতবড় ধৃষ্টতা হয় কি করে। যারা সংবিধান মানে না, গণতন্ত্র মানে না, তাদের ধৃষ্টতার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় দেশের সংবিধান রক্ষার্থে, গণতন্ত্র রক্ষার্থে যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের রাজপথে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। এ সময় তিনি সমাবেশ পণ্ড করার অপচেষ্টাসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতি তীব্র নিন্দা জানান।

এছাড়াও সভাপতির বক্তব্য চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিএনপি- জামায়াত যত শক্তিশালী হোক না কেন তারা দেশে কোন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সেটাকে প্রতিহত করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন এ দেশের স্বাধীনতা আর শেখ হাসিনা দিয়েছেন এদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। 

তিন আরও বলেন, আজ পঞ্চান্ন বছর আওয়ামী লীগ করে সেই সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য জীবন যৌবন সবটুকু উজাড় করে লাঞ্ছিত হচ্ছে, তাদের উপর হামলা করা হচ্ছে যা সত্যি লজ্জাজনক। আমি আশা করব, দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা চুয়াডাঙ্গা- ২ আসনের আওয়ামী লীগ রক্ষায় যোগ্য মানুষকে নৌকার মাঝি করবেন।

আরএক্স/