আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, আতঙ্কে নোয়াখালীর বানভাসিরা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ২৩শে আগস্ট ২০২৪


আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, আতঙ্কে নোয়াখালীর বানভাসিরা
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীতে আকাশ এখনো মেঘাচ্ছন্ন, কোথাও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বানভাসিরা। আশ্রয়কেন্দ্রেও ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। 


শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিনে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে দেখা যায়, দিনভর সূর্যের দেখা মেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে সন্ধ্যা নামার পর আতঙ্ক দেখা গেছে আশ্রয়ণকেন্দ্রের বাসিন্দাদের মাঝে।


কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়ের আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা তোফায়েল আহমেদ বলেন, দিনে সূর্যের আলো থাকায় আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। বাড়িতে গিয়ে জিনিসপত্র দেখে এসেছি। সবকিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। তবে সন্ধ্যার পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় আতঙ্কে আছি। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুক।


আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সূর্যের দেখা, কমতে শুরু করেছে পানি


জেলা শহরের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, আমি চা দোকান করি। পানি কমায় দোকান খুলেছি কিন্তু কাস্টমার না পেয়ে বন্ধ করে দিছি। কোনো রকম বেঁচা-বিক্রি নাই। আবার কোম্পানিগুলোও মালামাল সাপ্লাই দিতে পারছে না।


জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকে দিনের বেলা বৃষ্টি হয়নি। প্রায় ৮ দিন পর সূর্যের দেখা মেলায় আকাশ পরিষ্কার ছিল। তবে রাতে বৃষ্টি হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।


কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বৃষ্টিপাত, জোয়ার ও ফেনী থেকে আসা পানির চাপ সবকিছু মিলিয়ে কোম্পানীগঞ্জ মোটামুটি ভালো আছে। কোম্পানীগঞ্জ দিয়ে পানি ইতোমধ্যে নামতে শুরু করেছে। আমরা রাতের বেলায় সজাগ আছি। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আছে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বন্যা: আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করছে সেনাবাহিনী


জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, নোয়াখালীর ৮ উপজেলায় ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। মহিলা ও শিশুদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সুর্যের দেখা মেলায় আমরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। আমরা মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫০৫ মেট্রিক টন চাল ও প্রায় ২৫ লাখ টাকা বিতরণ করেছি। পানিবন্দি ও বানভাসি মানুষের জন্য আমাদের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।


এমএল/