সোনা পাচারে ধনী কারা
বশির হোসেন খান
প্রকাশ: ১২:৪২ অপরাহ্ন, ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈধ ও অবৈধপথে বাংলাদেশে আসা সোনা দেশে থাকছে না। এসব সোনার বেশিরভাগ ভারত হয়ে পাচার হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে সোনা পাচারের হাবস্পট। সড়কপথে দেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে ভারতে পাচারের সময় গত ৯ বছরে ৭৭৫.৯১৯ কেজি সোনা আটক করেছে বিজিবি। এভাবে সোনা পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে। দিন দিন এর পরিমান ও ঘটনা বাড়ছেই। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কেটি টাকার রাজস্ব।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি সোনা আটক হয়, যার পরিমাণ ৬২৩.৭০৮ কেজি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবৈধ সোনা আটক হয় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে, প্রায় ৫৬৫.৭১ কেজি। এ ছাড়া শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩৬৩.৭৯ কেজি, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১২১.৬৮১ কেজি, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৬০.৩০ কেজি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৬৯.২৫ কেজি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮০.৩৫ কেজি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৭৪.৪৯ কেজি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২২৪.২৪৯ কেজি এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৬৫.৬৫ কেজি সোনা ধরা পড়ে। পরবর্তী সময়ে সোনা পাচারের তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভৌগোলিকভাবে কারণে দিনে দিনে বাংলাদেশ হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালান চক্রের জন্য নিরাপদ রুট। কিন্তু দেশ থেকে সোনা পাচারে দেশ হারাচ্ছে বিপুল অঙ্কের রেমিট্যান্স। প্রধান তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকার হযরত শাহজালাল, চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর থেকে এসব সোনা আটক করে সংস্থাটি। আটক করা সোনার দাম প্রায় এক হাজার ৩৮৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বা ১৬২.৪৯ মিলিয়ন ডলার।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, আটকের এ পরিসংখ্যান অবৈধ চোরাচালানির বাস্তব চিত্র নয়। তাদের মতে, বিমানবন্দরগুলোতে যে পরিমাণ সোনা ধরা পড়ে, তার থেকে কয়েক গুণ বেশি সোনা বেরিয়ে যায় নির্বিঘ্নে। সবশেষে শুল্ক ফাঁকির এসব সোনা চলে যায় সোজা ভারতে। এ কারণে সরকার প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
সোনা জব্দ ও সোনা আমদানির বিষয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের সাবেক কমিশনার এ কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘একটা সময় ছিল, দেশে সোনা আনার কোনো অনুমতি ছিল না। তাই চাহিদা মেটাতে নানাভাবে সোনা আনা হতো। যখন থেকে বৈধভাবে সোনা আমদানি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তখন থেকে কিছু অসাধু ব্যক্তি ছাড়া সচেতনরা ট্যাক্স দিয়েই সোনা আনছেন। এ জন্য মনে হচ্ছে সোনা আমদানি বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘চোরাচালান কিছুটা কমাতে জব্দের সংখ্যাটাও কমেছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সোনার শিল্প যাত্রা শুরু করলে ব্যক্তি পর্যায়ে আমদানি ও চোরাচালান দুটোই কমে আসবে।’
বিজিবির তথ্যানুযায়ী, গত ৯ বছরে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় সবচেয়ে বেশি সোনা আটক হয় ২০১৮ সালে, প্রায় ১৯৫.৭৮৯ কেজি। ২০২২ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯৪.৯৯৩ কেজি সোনা আটক হয়। ২০১৪ সালে ৪২ কেজি, ২০১৫ সালে প্রায় ২৮ কেজি, ২০১৬ সালে ৩৯.৭৯৬ কেজি, ২০১৭ সালে ৮২.৩৯৬ কেজি, ২০১৯ সালে ৫৪.২৩৪ কেজি, ২০২০ সালে ৮৭.৯২৯ কেজি এবং ২০২১ সালে ৫০.৭৯৭ কেজি সোনা আটক করে বিজিবি।
বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রশাসনের কিছুটা কড়াকড়ির কারণে বৈধ পথে সোনা আমদানি বেড়েছে। তবে এগুলোর অধিকাংশই দেশে থাকছে না, চলে যাচ্ছে ভারতে। ভারতে সোনা আমদানিতে শুল্ক তুলনামূলক বেশি হওয়ায় একটি বড় চক্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে পাচারের রুট হিসেবে কাজে লাগিয়ে আসছিল।
এদিকে সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের সংকট ও দাম বৃদ্ধির সৃষ্ট উদ্ভূত সমস্যার জন্য সোনা চোরাচালানকে দায়ী করা হয়। এতে বলা হয়, সোনা আনার উৎস দেশগুলো থেকে বেশি কমছে রেমিট্যান্সের প্রবাহ। এর মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে সর্বোচ্চ ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে রেমিট্যান্স।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদেশ থেকে যে পথেই সোনা আসুক না কেন, তাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংকটের সময়ে এভাবে সোনা আমদানির সুযোগে দুইভাবেই ডলারের প্রবাহ কমছে। একদিকে দেশ থেকে ডলার নিয়ে গিয়ে পর্যটকরা বিদেশ থেকে সোনা কিনে সঙ্গে করে নিয়ে আসছেন।
আবার একটি চক্র বিদেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে, তাদের হুন্ডিতে ওই পরিমাণ টাকা দিয়ে দেয়। আর সংগ্রহ করা ডলার দিয়ে সোনা কিনে তা দেশে নিয়ে আসছে। অথচ এই বিপুল সোনার চাহিদাও দেশে নেই। এতে বিশাল অঙ্কের ডলার হারাচ্ছে দেশ।
জানা গেছে, ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় ১০০ গ্রাম (সাড়ে আট ভরি) ওজনের স্বর্ণালংকার আনতে পারেন। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় প্রদত্ত সুযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রায় রেমিট্যান্সের বদলে সোনা নিয়ে আসা সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বিদেশ থেকে সোনা আনতে প্রবাসে কর্মরত একটি সংঘবদ্ধ চক্র বা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ কাস্টম হাউসের ব্যাগেজ রুল (সংশোধিত ২০২৩-২৪) অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণের বার আনতে পারবেন। সাধারণত একটি স্বর্ণের বার ১০০ গ্রামের হয়ে থাকে (কিছু বড় হয়)। সেক্ষেত্রে একটি বার আনা বৈধ। সংশ্লিষ্ট বাহককে বিমানবন্দরে নামার আগে প্লেনে দেওয়া নির্দিষ্ট ফরমে স্বর্ণের বার থাকার ঘোষণা (ডিক্লারেশন) দিতে হয়। পাশাপাশি বিমানবন্দরে নেমে কাস্টম অফিসারের কাছে গিয়ে ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। প্রতি ১১ দশমিক ৬৭ গ্রাম বা এক ভরির জন্য ৪ হাজার করে প্রতিটি বারের জন্য ৪০ হাজার টাকা ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়। দুটি বারের বেশি স্বর্ণ আনলে সেটি জব্দ করে বহনকারীকে আটক রসিদ (ডিটেনশন মেম) দেয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ। জব্দকৃত স্বর্ণের বার পরবর্তীতে আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক দপ্তর ছাড়পত্র, শুল্ক-কর ও অর্থদণ্ড পরিশোধ করে ফেরত পাওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রে স্বর্ণের ট্যাক্সের ১০ গুণ পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হতে পারে। একটি বারের জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা করা যায়। তবে বৈধ পথে সোনা আনে খুবই কম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) হিসাবে, বছরে ১৮ থেকে ২০ টন নতুন সোনা দরকার হয়। অবশ্য সোনা নীতিমালা (২০১৮) অনুযায়ী, দেশে বছরে সোনার চাহিদা ১৮ থেকে ৩৬ টন। সে হিসাবে দেশে শুল্কায়ন হয়ে যে পরিমাণ সোনা ঢুকছে তা চাহিদার তুলনায় দেড় থেকে তিন গুণ বেশি। তবে যে পরিমাণ সোনা ঢুকছে, তা আসলে দরকার হয় না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে এত সোনার চাহিদা নেই। এতেই সোনা চোরাচালানের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফখরুল আলম বলেন, ‘সোনা চোরাচালানি ঠেকাতে শুল্ক গোয়েন্দা সব সময় তৎপর আছে। আমরা বিজিবি, আর্ম ফোর্সেস, সোর্সসহ সব স্টেকহোল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে এ বিষয়ে কাজ করছি। এ জন্য সাম্প্রতিক সময়ে এয়াপোর্টসহ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সোনা বেশি ধরা পড়ছে।’
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সোনা চোরাচালান আটক করেছিল তারা। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজের কার্গো হোল্ড থেকে ১২৪ কেজি সোনা জব্দ করা হয়। উদ্ধারের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছর বিমানের ১০ কর্মীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ১০ বছরেও এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। আসামিরাও বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। ২০১৪ সালেও বিমানের এক ফ্লাইটের টয়লেটে লুকিয়ে রাখা ১০৬ কেজি সোনা জব্দ করা হয়। এটা ছিল জব্দ হওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনার চালান। এ ঘটনার ৩ বছর পর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ডিবি। তবে এখনও শাস্তি হয়নি কারও। শুধু এই দুটি নয়, নিম্ন আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় সোনা জব্দের ঘটনায় হওয়া ১৮৭টি মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সবসময় তৎপর। সীমান্তে বিজিবির সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতায় বিভিন্ন সময় আসামিসহ অথবা আসামি ছাড়া (পরিত্যক্ত অবস্থায়) বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় কোনো আসামি গ্রেপ্তার হলে চক্রের অন্য সদস্যরা গা ঢাকা দেয়। কিছুদিন পর নতুন কৌশলে আবারও একই কাজ শুরু করে তারা।
এ ব্যাপারে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানবন্দরে চোরাচালান বন্ধে কাস্টম হাউস, কাস্টম ইন্টেলিজেন্স, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা, এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক), এপিবিএনসহ ২৪টি সরকারি সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সকল সংস্থা সোনার চোরাচালান বন্ধসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ সংরক্ষণে এক যোগে কাজ করছে। সন্দেহজনক যাত্রীদের অধিকতর স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। ফলে চোরাচালান করা প্রচুর সোনা উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে।’
সোনা পাচারকারীরা সম্পদশালী: পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, আনিছুর নামে এক ব্যাক্তি সোনা চোরাচালানকারী চক্রের সদস্য, সেই চক্রের ১২ জনের নাম, ঠিকানা এবং কোটি কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে সিআইডি। কর্মকর্তারা বলছেন, চোরাচালানের টাকা দিয়ে কেউ করেছেন বাড়ি, কেউ কিনেছেন গাড়ি, কেউ বানিয়েছেন বিপণিবিতান, কেউ আবার গরুর খামার করেছেন। তদন্তে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ কোটি টাকার সম্পদের হদিস পাওয়া গেছে। আনিছুর একজন গাড়ি চালক। পেশা ছেড়ে সোনা চোরাচালান শুরু করেছেন। অপরাধ থেকে আয়ের মাধ্যমেই তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। অর্থ পাচারের মামলায় আনিছুর এখন পলাতক। ২০২২ সালের জুনে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে সোনা পাচারের সময় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। কর্মকর্তারা বলছেন, চক্রের দুই হোতা হলেন বেনাপোলের নাসিরুদ্দিন (৪০) ও রমজান আলী (২৯)। সিআইডি গত বছরের জুনে রমজান ও নাসিরুদ্দিন এবং তাঁদের ১০ সহযোগীকে আসামি করে যশোরের কোতোয়ালি থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করে। আদালতে চক্রটির সদস্যদের অবৈধ সম্পদ ও ৪৬টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করা হয়। সূত্র জানায়, চক্রের মূল হোতা নাসিরুদ্দিন, তার স্ত্রী মোছা. বিলকিচ খাতুন, মো. সেলিম হোসেন ও নাজমুল হোসেন কারাগারে রয়েছেন। আরেক হোতা মো. রমজান আলী এবং তাঁর সহযোগী মো. ওলিয়ার রহমান, রেজাউল করিম, রুহুল আমীন ও মোহাম্মদ আনিসুর রহমান পলাতক। রমজান ও নাসিরুদ্দিনের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী পুটখালী গ্রামে। সেই গ্রামে রয়েছে একটি বড় গরুর খামার, যার মালিক নাসিরুদ্দিন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সোনা চোরাচালানকারীদের খোঁজ পাওয়া সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। তাদের আরও সম্পদ রয়েছে। তার খোঁজ চলছে। এই সোনা চোরাকারবারীরা দিনে দিনে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। দেশে বাইরে সম্পদ গড়েছেন। তাদের সন্তানরা লেখাপড়া করছে কানাডায়।
জেবি/এসবি