মানবজীবনের বিনিময়ে জাহাজ ভাঙা চলতে পারে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশকে বিষাক্ত বর্জ্যের ভাগাড় হওয়া থেকে রক্ষা এবং শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জাহাজ ভাঙা শিল্পে কঠোর পরিবেশ আইন প্রয়োগ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ও বিপজ্জনক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় নিয়ন্ত্রক কাঠামো’ শীর্ষক কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, জরুরি সংস্কার করা না হলে বাংলাদেশ বিপজ্জনক বর্জ্যের বিশ্বব্যাপী ভাগাড়ে পরিণত হবে। শুধু তাই নয়, জাহাজ ভাঙা শিল্পে শ্রমিকরা অনেক ঝুঁকির মুখে থাকেন। অথচ তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা নেই। মানবজীবনের বিনিময়ে জাহাজ ভাঙা কখনোই চলতে পারে না।
আরও পড়ুন: নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জাহাজ ভাঙা শিল্পের মানবিক ও পরিবেশগত ক্ষতির দিক তুলে ধরে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জোয়ারভাটা অঞ্চলে জাহাজ ভাঙার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে এবং এ সিদ্ধান্তকে জাতীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যদি এ শিল্প আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে না চলে, তাহলে এটি টিকিয়ে রাখার কোনো যুক্তি নেই।
পোশাক শিল্পের সঙ্গে জাহাজ ভাঙা শিল্পের তুলনা করে তিনি বলেন, পোশাক শিল্পে বিদেশি ক্রেতারা শ্রমমান বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কিন্তু জাহাজ ভাঙা শিল্পের মালিকরা তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যান। যে দেশে ইস্পাতের বেশিরভাগ চাহিদা বিদেশ থেকে পূরণ হয়, সে দেশে এত ঝুঁকি নিয়ে কেনো জাহাজ ভাঙতে হবে? তিনি জানান, একদিনেই একটি কোম্পানি চারটি দেশ থেকে অনুমোদন নথি জোগাড় করে জাহাজ ভাঙার জন্য বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।
এসময় উপদেষ্টা প্রশ্ন করেন, ইউরোপের কোম্পানিগুলো জাহাজগুলোকে ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রের নামে নিবন্ধন করে বাংলাদেশে পাঠায়। ইউরোপের কোনো দেশে কি সমুদ্রতটে জাহাজ ভাঙার অনুমতি দেওয়া হতো? তাহলে বাংলাদেশে কেন এই বৈষম্য?
আরও পড়ুন: কারো ধমক শুনবেন না : ডিসিদের প্রধান উপদেষ্টা
পরিবেশ আইন কার্যকর না হলে, এই শিল্প কেবল ‘সবুজায়নের’ নামে বৈধতা পাবে বলে মন্তব্য করেন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন।
এমএল/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ দায়ের

সমুদ্র ও নাব্য জলপথের হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও চার্ট প্রণয়ন নিশ্চিত করা হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে বিশ্বব্যাংকের ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: নির্বাচন কমিশনার
