মাটিরাঙ্গায় মাচায় পটল চাষে নারী উদ্যোক্তার সাফল্য
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:১৬ অপরাহ্ন, ২৬শে এপ্রিল ২০২৫

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মাচায় পটল আবাদ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন নারী কৃষি উদ্যোক্তা রিনা আক্তার। পটল সবজি হিসেবে যেমন পুষ্টিকর তেমনি সুস্বাদু। অন্যান্য ফসলের চেয়ে পটলের ফলন বেশি হয়ে থাকে। বাজারে দামও ভালো থাকায় মাচা তৈরি করে এখন পটল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ি রামগড়ে চার মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা
চলতি মৌসুমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার নতুন পাড়া এলাকায় বেসরকারি সংস্থা আইডিএফের সহযোগিতায় ৩০ শতাংশ জমিতে মাচা তৈরি করে বারি পটল-১ জাতের উচ্চফলনশীল পটল চাষ করেন স্থানীয় নারী কৃষি উদ্যোক্তা রিনা আক্তার। নিয়মিত পরিচর্যায় প্রথম বছরেই সফল হয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে রিনা আক্তার জানান, বেসরকারি সংস্থা আইডিএফ’র সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো ৩০শতাংশ জমিতে মাচা তৈরি করে এবছর তিনি পটল চাষ করেছেন। ফলনও বেশ ভালো এসেছে, ইতিমধ্যে পটল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরইমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার পটল বিক্রি হয়েছে। সামনে আরও টাকা আয়ের আশা করছেন এই চাষি। তার এই সাফল্য দেখে অনেক কৃষকই পটল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আইডিএফের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আজমারুল হক বলেন, ‘পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমন্বিত কৃষি খাতের অর্থায়নে ও ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) কৃষি উন্নয়ন বিভাগের বাস্তবায়নে মাটিরাঙ্গায় পরীক্ষামূলকভাবে ৩০ শতাংশ জমিতে মাচা পদ্ধতিতে পটল চাষের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছিল। ফলনও খুবই ভালো এসেছে। আমরা কৃষককে সার, বীজ, বালাইনাশক ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে কৃষি বিভাগের সাথে সমন্বয় করে পটলের বানিজ্যিক চাষাবাদের বিকাশ হবে’।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ আলী বলেন, ‘পটল লতানো প্রকৃতির উদ্ভিদ তাই বাঁশের আনুভূমিক মাচা ও রশি দিয়ে তৈরি উলম্ব মাচায় পটল চাষ লাভজনক হয়ে থাকে। পটল চাহিদাসম্পন্ন ও উচ্চ ফলনশীল সবজি। এখানকার মাটি পটল চাষের জন্য খুবই উপযোগী’। এই সবজি চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষি অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন তিনি।
এসডি/