মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশলের একটি নগ্ন অংশ কাশ্মির হামলা: পাকিস্তান


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০২:৪৮ অপরাহ্ন, ৪ঠা মে ২০২৫


মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশলের একটি নগ্ন অংশ কাশ্মির হামলা: পাকিস্তান
ফাইল ছবি

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে ভারতের মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশল বলে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ এই মন্তব্য করেছেন।


তিনি অভিযোগ করেন, পেহেলগামের হামলাকে কৌশলগত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে ভারত। একইসঙ্গে এই হামলার মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার অর্থনীতি ও কূটনৈতিক অবস্থান দুর্বল করার চেষ্টা চলছে বলেও দাবি করেন তিনি।


রবিবার (৪মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।


একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর — বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) — মাধ্যমে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।


তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতিতে ভীত হয়ে ভারত এই ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।


আসিফ আরও বলেন, সত্য উদঘাটনে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়ে ভারতের পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য পেহেলগাম হামলা মোদি সরকার নিজেই সাজিয়েছে, কাজেই “যেকোনও মধ্যস্থতায় পৌঁছানোর আগে পেহেলগাম ঘটনার আসল সত্যতা বের করতে হবে।”


পাকিস্তান শিগগিরই সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। যুদ্ধ নিয়ে ভারতের উন্মাদনা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি বলেও সতর্ক করেন তিনি। 


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মিরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের এই হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।


ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।


এই পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান শনিবার “আবদালি” ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ভারতের কর্মকর্তারা এটিকে “খোলামেলা উসকানি” বলে মন্তব্য করেছেন। ৪৫০ কিমি রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র “সিন্ধু মহড়ার” অংশ হিসেবে পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।