একের পর এক জরুরি বৈঠকে মোদি, উত্তেজনা চরমে পৌছেছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭:০২ অপরাহ্ন, ৪ঠা মে ২০২৫

ভারত ও পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনা আস্তে আস্তে ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। সীমান্তে দু’দেশের সেনাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। পেহেলগামের ভয়াবহ হামলার পর থেকেই একের পর এক সামরিক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সবশেষ রবিবার (৪ মে) ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংহের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি।
বৈঠকটি এমন একসময়ে হলো যখন এর আগের দিনই নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছিলেন মোদি। যদিও এই সাক্ষাতের কোনো সরকারি বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা শুরু থেকেই অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে পাকিস্তান সরকার। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের বাতিল হয়েছে ভিসা। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতও করেছে ভারত।
আরও পড়ুন: মোদি সরকারের রাজনৈতিক কৌশলের একটি নগ্ন অংশ কাশ্মির হামলা: পাকিস্তান
পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে একই ধরনের পদক্ষেপ দিয়েছে পাকিস্তানও। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জানান, সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। তিনি বলেছেন, যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের ‘রক্ত ফুটছে’। হামলায় জড়িত প্রত্যেককে কঠিনতম শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। শুধু তাই নয়, সীমান্তে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় নিজের তিন বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন মোদি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করলো ভারত, নিয়ন্ত্রণরেখায় ভয়াবহ সংঘর্ষ
বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বলছেন, পাকিস্তান যে কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি ভারত। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে তার ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চমলান সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা যদি বাড়তে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।
এমএল/