তিব্র তাপে পুড়ছে মেহেরপুর, অতিষ্ঠ জনজীবন

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরের উপর দিয়ে তিব্র তাপ বয়ে যাচ্ছে। রোদের তাপ ও ভ্যাপসা গরমে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষজন।

আরও পড়ুন: মেহেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

শনিবার (১০ মে) দুপুর ৩টায় ৪২.০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং বাতাসের আদ্রতা ১৬ % যা এ মৌসুমে সারা দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গাও মেহেরপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অতিমাত্রায় তাপমাত্রার কারণে জেলার বিভিন্ন সড়ক ও বাজারগুলাে মানুষ চলাচল কম লক্ষ্য করা গেছে। প্রচন্ড তাপমাত্রার ফলে বিভিন্ন  প্রাণীকূলের নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে অতিতাপমাত্রা মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ছে।

তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র  পর্যবেক্ষক মাে : রকিবুল হাসান।

তিনি জানান,বেলা গড়ার সাথে সাথে  তাপমাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে। তবে আগামী ১৩ তারিখ এর পরে মেঘাচ্ছন্ন হতে পারে তাপমাত্রা একটু কমতে পারে। অতিতাপমাত্রার ফলে হাসপাতালে ডায়রিয়া জনিত অনেক রোগী ভর্তি হচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষ জন পড়ছে বিপাকে। 

গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের দিনমজুর কালাম জানান, ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে সকাল ৮ টার মধ্যে মাঠের জমিতে কাজ শেষ করে বাড়ি চলে আসি।সারাদিন রোদের তাপের কারনে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। জমিতে পানির অভাবে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কারণ অতিমাত্রায় রোদ হওয়ার কারণে জমিতে পানি থাকছে না।

আরও পড়ুন: মেহেরপুরে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙল ছাত্র-জনতা

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও  ডা. মাসুদুর রহমান জানান, যে পরিমাণ তাপমাত্রা পড়ছে তাতে করে আমাদের বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার ও পানি পান করতে হবে। বিশেষ করে গর্ভবতী, শিশু ও বৃদ্ধের প্রতি নজর রাখতে হবে যেন অতিতাপমাত্রায় যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে সাথে সাথে চিকিৎসার শরণাপন্ন হতে হবে। তিনি আরো বলেন ছায়া যুক্ত জায়গায় বিশ্রাম নিতে হবে এবং পঁচা বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। গত ২৪ ঘন্টায় গাংনী উপজেলা হাসপাতালে ডায়রিয়া জনিত রোগী ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশী।

এসডি/