কসবায় বাল্যবিবাহ বন্ধ, জরিমানা ও খাবার জব্ধ করে এতিমখানায় বিতরণ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, ১২ই মে ২০২৫

সকল আয়োজন সম্পন্ন। রান্না-বান্নাও শেষ। বর আসার সময় সমাগত। এমন সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ সময় বাল্য বিবাহের আয়োজন করায় কনে পক্ষকে বাল্যবিহের দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং রান্না করা খাবার এতিমদের মধ্যে বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
রবিবার (১১ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে একই ইউনিয়নের বিনাউটি গ্রামের এক প্রবাসী বরের সাথে আজ রবিবার (১১ মে) বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ে উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় এমনকি রান্নাবান্নাও শেষ। বর আসার সময় হয়ে এসেছে এমন সময় বেলা দেড়টার দিকে বাল্যবিবাহ হচ্ছে এরকম সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধ করে দেন।
এসময় তিনি কনের মাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। ভ্রাম্যমান আদালতের এ খবর পেয়ে বর ও তাদের লোকজন পালিয়ে যায়।
এ দিকে বরযাত্রী ও মেহমানদের জন্য রান্না করা খাবার জব্দ করে ব্রাহ্মণগ্রাম এতিমখানা ও সুন্নিয়া মাদ্রাসায় খাবার বিতরণ করেন। চন্ডিদার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এই ছাত্রীটি যাতে আগামীকাল স্কুলে যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে তার এক শিক্ষক কে দায়িত্ব দেন।
আরও পড়ুন: কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রির বিয়ে হচ্ছে এরকম সংবাদের ভিত্তিতে কনের বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। মেয়ের অভিভাবকদের বলা হয় বাল্যবিবাহ আইনত নিষিদ্ধ। এসময় মেয়ের মাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় খাবার বিতরণ করা হয়। তাছাড়া সে যাতে আগামীকাল থেকেই স্কুলে যায় তাও এক শিক্ষকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এসডি/