শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য আমরা দায়িত্ব নিইনি: পরিবেশ উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২১ অপরাহ্ন, ২৩শে মে ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমাদের তিনটা মোটা দাগের দায়িত্ব-সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। তিনটিই কঠিন দায়িত্ব। শুধু নির্বাচন করার জন্য আমরা দায়িত্বটা নিইনি।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতির ২৪তম জাতীয় সম্মেলন এবং বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছি, করে যাব: সেনাপ্রধান
রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি যে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) একটা সময়- থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও কোনো সুযোগ হওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত ধরনের দাবি রয়েছে, সব দাবি নিয়ে রাস্তা আটকে দিচ্ছে। আর এতে করে রাস্তা একেবারে অচল হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা নিরসনে আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমাদের দায়িত্ব পালন করা তখনই সম্ভব হবে, যখন আমরা সবার সহযোগিতা পাবো।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা যদি দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আর যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারি, তখন দায়িত্ব পালন করাটা আর প্রাসঙ্গিক থাকলো না।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফয়েজ আহমদ
ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখন কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব আছে, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি—ওটা আপনারা ওনার (প্রধান উপদেষ্টার) কাছ থেকেই শুনবেন।
চাপের প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ধরুন, প্রত্যাশার একটা চাপ হচ্ছে যে আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি না। আমাদের বিবেচনায় ওটাই একমাত্র চাপ। এর বাইরে আর কোনো চাপ নেই।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত দাবি আছে সবগুলো নিয়ে রাস্তায় বসে যাচ্ছে। রাস্তা আটকে দিচ্ছে, একদম ঢাকা শহর অচল করে দিচ্ছে। সে অচলাবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কি না? আমরা আগেও বলেছি আমরা ক্ষমতা নিইনি দায়িত্বে আছি। এই দায়িত্ব পালন করা তখনই আমাদের জন্য সম্ভব হবে, যখন আমরা সবার সহযোগিতা পাব। প্রত্যাশার বিষয়টা এক, আর দায়িত্ব পালন করার বিষয়টা আরেক। আমরা চিন্তা করেছি আসলে দায়িত্ব পালন করতে পারছে কি না।
এমএল/