পঞ্চগড়ে কবর থেকে ৫ কঙ্কাল চুরি
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, ২রা জুন ২০২৫

পঞ্চগড়ের পৌরসভা এলাকার কাগজিয়াপাড়া কবরস্থানের কবর খুঁড়ে পাঁচটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (০১ জুন) দিবাগত রাতে পঞ্চগড় পৌরসভার কাগজিয়াপাড়া এলাকায় পঞ্চগড় সুগার মিল এলাকার ট্রেনিং কমপ্লেক্স ও কাগজিয়াপাড়া ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন কবরস্থানে এ ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বাড়ী ফেরার পথে ট্রাক চাপায় দুই কিশোরের মৃত্যু
সোমবার (০২ জুন) সকালে তেলিপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের তার বাবার কবর জিয়ারত করতে গেলে চোখে পড়ে খোঁড়া কবর ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মাটি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরপরই অনেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় মৃত ব্যক্তির স্বজনরা ছুটে আসে।
কঙ্কাল চুরি হওয়া মৃত ব্যক্তিরা হলেন, ২০২৪ সালে মারা যাওয়া তসিরুল আলম (৭৫), চার বছর আগে মারা যাওয়া রাইয়ান আজমি বিজয় (১৫), দুই বছর আগে মারা যাওয়া হামিদা বেগম (৭০), তোজো (৮০) ও একবছর আগে মারা যাওয়া আব্দুস সাত্তার (৭০)।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা গোপনে কবরস্থানে প্রবেশ করে পাঁচটি কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো তুলে নিয়ে যায়। একই সময় একটি কবরের ওপর কালো রঙ্গের লুঙ্গি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পঞ্চগড় পৌরসভার তেলিপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে বাবার কবর জিয়ারত করতে কবরস্থানে যায়। সোমবার সকালে এসে ৫টি কবরের মাটি খোঁড়া দেখে গোরস্তান কমিটি ও স্থানীয়দের অবগত করি।
দুলাল নামে আরেকজন বলেন, আমার বাবা ও ভাতিজাকে এই কবরস্তানে মাটি দেয়া হয়েছে। সকালে খবর পাই যে তাদের দুজনে সহ মোট ৫ জনের কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। এমন অমানবিক কাজ যে করেছে তাদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
কাজিয়াপাড়া ঈদগাহ ময়দান ও কবরস্থান কমিটির সহ-সভাপতি হাসিবুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই কবরস্থানগুলো একটি অরক্ষিত স্থান। রাতের অন্ধকারে অনেক সময় মাদক সেবন সহ বিভিন্ন রকমের মানুষ এই কবরস্থানে আসে। একই সাথে দুর্বৃত্তরাও ঘোরাফেরা করে। এর আগেও পঞ্চগড় জেলা এমন কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমার মতে এই স্থানগুলোতে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। একই সাথে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
এসডি/