তেঁতুলিয়ায় থাই ব্যানানা ম্যাংগোর বাম্পার ফলন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ৪ঠা জুন ২০২৫


তেঁতুলিয়ায় থাই ব্যানানা ম্যাংগোর বাম্পার ফলন
থাই ব্যানানা ম্যাংগোর বাম্পার ফলন। ছবি: প্রতিনিধি

দেশে দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নানা প্রজাতির বিদেশী আম। কেউ শখে কেউ বা আবার বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন বিদেশি আম। বিদেশি সেসব আমের মধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে থাইল্যান্ডের ব্যানানা ম্যাংগো। 


উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের প্রধান পাড়া গ্রামের আম চাষী মো. জাহিদুল ইসলাম এবার তিন একর জমিতে এই ব্যানানা ম্যাংগো চাষ করেছেন। তিনি গত বছর এই বাগান থেকে ৮ লক্ষ টাকার আম বিক্রি করেছিলেন, এ বছরে তিনি এ বাগান থেকে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার অধিক আম বিক্রির আশা করছেন।


আমটি মূলত থাইল্যান্ডের একটি জাত। বাংলাদেশের আবহাওয়াতেও এটির ভালো ফলন হচ্ছে। ব্যানানা ম্যাংগো আমটি দেখতে কলার মতই আকার,  আমটি পাকলে রং একেবারে পাকা কলার মত হলুদ। আমটির স্বাদ ও গন্ধ অতুলনীয়। চামড়া একেবারে পাতলা। আমের আটি অত্যন্ত পাতলা। আশ নেই বললেই চলে। পরিপক্ক একটি আমের ওজন ৩৫০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রামের বেশি হয়ে থাকে। জুনের শেষ দিকে ও জুলাইয়ের শুরুতেই বাজারে আসবে এই আম। 


তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নে প্রধানপাড়া, রওশনপুর ও ইসলামবাগ গ্রামে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এই থাই ব্যানানা ম্যাংগো চাষ। চা বাগানের সাথে ও চা বাগান ছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে ছোট ছোট গাছের মধ্যে শোভা পাচ্ছে এই আম। এই এলাকার ২০-২৫ জন চাষী প্রায় ৫০ একর জমিতে গড়ে তুলেছে থাই ব্যানানা ম্যাংগো হাব।


ইএসডিও কর্তৃক বাস্তবায়িত পিকেএসএফ এর আর্থিক সহযোগিতায় আরএমটিপি‘র  উচ্চ মূল্যের ফল-ফসলের জাত সম্প্রসারণ ও বাজারজাতকরণ' শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ প্রকল্প হতে উদ্যোক্তাদের নিরাপদ ও  স্বাস্থ্যসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান করে আসছেন৷ 


ইএসডিও আরএমটিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক কল্যান মহান্ত বলেন, উদ্যোক্তাদের নিরাপদ ও  স্বাস্থ্যসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে আম বাগানে জৈব সারের ব্যবহার, প্রোবায়োটিকস এর ব্যবহার, চাষের সুবিধার্থে মিনি পাওয়ার টিলার,  সেচের আধুনিক প্রযুক্তি স্প্রিংকলার ইরিগেশন সিস্টেম উন্নয়ন,  ফ্রুট ব্যাগ, জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার, ফল বাছাইকরণ, ধৌতকরণ, প্যাকেজিং ও দূরবর্তী বাজারে প্রেরণের জন্য কালেকশন সেন্টার উন্নয়নে সহায়তা এবং সার্বিক টেকনিক্যাল পরামর্শ প্রদান করে আসছি । যার ফলশ্রুতিতে ব্যাপক পরিমাণ ফলন এবং উদ্যোক্তারা কয়েক কোটি টাকার আম বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। 


এসডি/