কমলনগরে ইউপি মেম্বারের স্বামীর বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল জালিয়াতির অভিযোগ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৩১ অপরাহ্ন, ৫ই জুন ২০২৫


কমলনগরে ইউপি মেম্বারের স্বামীর বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল জালিয়াতির অভিযোগ
ফাইল ছবি।

মোঃ হেলাল পালোয়ান: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ভিজিএফের চালের জন্য অপেক্ষায় লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলার বাসিন্দারা। 


পাটোয়ারী হাট ইউনিয়নের কাশেম মাঝির গৃহবধূ হালিমা বেগম। তার উপার্জন অক্ষম স্বামী অসুস্থ হওয়ায় কোনো রকম চলছে তাদের সংসার। ঈদে একটু ভালো চলার জন্য বুধবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় কমলনগর উপজেলার পাটোয়ারী হাট ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চালের জন্য এসেছিলেন। বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষ করেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ভিজিএফের চাল না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা টোকেন পেয়েও চাল পাইনি পরে জানতে পারলাম আমার টোকেন জাল করে নিরব তালুকদার নামে এক ব্যক্তি চাল নিয়ে গেছে। আমরা নিরীহ গরীব, আমাদের হক বড়লোকরা আত্মসাৎ করছে। এ সময়েও গরীবরা তাদের হক বুঝে পাচ্ছে না। কার কাছে বললে আমাদের হক বুঝে পাবো?’ শুধু হালিমা বেগম নয়, তার মতো শতাধিক অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থ মানুষ ভিজিএফের চাল না পেয়ে ঈদের আগে বুক ভরা হতাশা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। 


অভিযোগ রয়েছেন, পাটোয়ারী হাট ইউনিয়ন পরিষদের ১.২.৩নং ওয়াডের মহিলা মেম্বার ফারহানা আক্তারের স্বামী নিরব তালুকদার স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে সরকারি বরাদ্দের ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ করছেন। এ ছাড়াও ইউপি মেম্বারের স্বামী নিরব তালুকদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। 


এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করেও কোন সুরাহা পাচ্ছে না স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা যায় বিকেল ৪ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অর্ধশতাধিক অসহায় দরিদ্র মানুষ চালের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। 


লেসকী এলাকার বৃদ্ধা আমেলা বেগম বলেন, ‘তিন ঘণ্টা যাবত ১০ কেজি চালের জন্য অপেক্ষা করছি। গরমে খুবই কষ্ট হচ্ছে। এই চাল আমাদের না দিলে তারা কাদের দিবো?’ 


বোয়ালিয়া এলাকার হাসনা বেগম বলেন, ‘আমি খুব অসুস্থ। হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও চালের জন্য অপেক্ষা করছি। কাকে বললে আমাদের চাল আমরা পাবো তাও জানি না।’ 


রাবেয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। মানুষের সহযোগিতা নিয়ে সংসার চালাই। আজ সারাদিন যাবত অপেক্ষা করেও চাল পাইনি। আমাদের কথা কেউ শোনে না। 


উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুলহুদা চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি প্রাথমিক অবস্থায় তার সত্যতাও পেয়েছি। 


কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাতুজ জামান বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে আছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


আরএক্স/