পুলিশ মামলা বাণিজ্যে জড়ালে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৬ অপরাহ্ন, ১০ই জুন ২০২৫

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্যে-দুর্নীতিতে জড়ালে ছাড় দেওয়া হবে না। বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা এটাচ করে রেখেছি। এরইমধ্যে আমি ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরও ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠিত হবো না। যদি কোনো রকম দুর্নীতির সাথে জড়িত হয়।
মঙ্গলবার (১০ জুন) গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা ও কোনাবাড়ি থানা পরিদর্শন শেষে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্য ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরইমধ্যে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা এটাচ করে রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমি ৩০-৪০ জনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরও ৩০-৪০ জনকে বাড়িতে পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠিত হব না—যদি তারা কোনো রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। যদি এটা আমরা কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারতাম, তাহলে দেশ অনেক অনেক এগিয়ে যেত। এজন্য আমি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করুন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: আজ থেকে হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু
তিনি বলেন, আগে বলা হতো—জিডি ও মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা ইতোমধ্যে মামলার গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ফলে মামলা করার জন্য মানুষকে থানায় যেতে হয় না, তাই হয়রানিও পোহাতে হয় না।
অন্তর্বর্তী সরকারেরর এই উপদেষ্টা বলেন, রিমান্ড নিয়ে নির্যাতনের কথা শুনি। এখন থেকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাচের মতো স্বচ্ছ ঘর করে দেওয়া হবে, যাতে অন্যরা দেখতে পারে আসামির সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কিনা।
এমএল/