বাংলাদেশে মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলো র্যানকন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ৩০শে জুন ২০২৫

র্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশের অটোমোবাইল শিল্পে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশে নির্মিত মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার। এই সাত আসনের ফ্যামিলি এসইউভি, ১.৫ লিটার মাইভেক ইঞ্জিনে চালিত, জাপানি প্রযুক্তি এবং দেশীয় উদ্ভাবনের এক অপূর্ব সমন্বয়।
বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসিবি) আয়োজিত জমকালো এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যানকন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রোমো রউফ চৌধুরী, মিতসুবিশি মোটরস কর্পোরেশনের ডিভিশন জেনারেল ম্যানেজার ইউতাকা ইয়ানো, এবং ব্যাংকিং ও বেসরকারি খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
র্যানকনের ৫২ একর বিস্তৃত ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে উৎপাদিত এই গাড়িটি বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী অটোমোবাইল উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এই কারখানায় মিতসুবিশি ছাড়াও মার্সিডিজ বেঞ্জ বাস চ্যাসি, সুজুকি মোটরসাইকেল, প্রোটন, জ্যাক, এলজি এবং তোশিবার মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে।
মিতসুবিশি মোটরস কর্পোরেশনের সিইও তাকাও কাতো ভিডিও বার্তায় বলেন, “বাংলাদেশে এক্সপ্যান্ডারের উৎপাদন আমাদের জন্য একটি নতুন পথচলার সূচনা। এই গাড়িটি আসিয়ান অঞ্চলে ফ্যামিলি-কার হিসেবে প্রমাণিত সাফল্য অর্জন করেছে। র্যানকনের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও উন্নতমানের গাড়ি উৎপাদনের পথ প্রশস্ত করবে।”
রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, “গত ৫০ বছর ধরে আমরা মিতসুবিশির অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করছি। সরকারের বিনিয়োগ-বান্ধব নীতি এবং মিতসুবিশির সহযোগিতায় আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে জাপানি প্রযুক্তির গাড়ি দেশে উৎপাদন করছি। প্রতিটি এক্সপ্যান্ডারে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি এবং ২ বছরের ফ্রি সার্ভিসিং প্রদান করা হচ্ছে।”
জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি বলেন, “এই উদ্বোধন কেবল একটি গাড়ির নয়, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং প্রযুক্তি বিনিময়ের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।”
অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা ও মিতসুবিশি মোটরস বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সিয়াম আহমেদের উপস্থিতি এবং দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ইনফ্লুয়েন্সারদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এই উদ্যোগ বাংলাদেশের অটোমোবাইল শিল্পের সম্ভাবনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য গাড়ি সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।
এসডি/