গাজা উপত্যকায় এক বস্তা আটার জন্য চলে যেতে পারে জীবন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:২২ পিএম, ৩রা আগস্ট ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ সামগ্রী নিচ্ছেন। সেখানকার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে এক বস্তা আটার জন্য নিভে যেতে পারে নিজের জীবনও।
হামজা জোদা নামে এক ব্যক্তি রবিবার (০৩ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বলেছেন, “আমি আটার বস্তা আসার জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু আমাদের মাত্র বলা হলো আটা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের বাড়িতে চলে যেতে বলেছে। আমাদের কোনো উপায় নেই ফিরে যেতে হয়েছে।” তিনি গাজার মোরাগ এলাকায় ত্রাণ নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আল-আকসা দখলের হুমকি দিলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
গাজার এ বাসিন্দা আরও বলেন, “এটি একটি অপরাধ, ভয়াবহ। এটি জীবন মৃত্যুর বিষয়। পরিস্থিতি অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। এখানে ইসরায়েলিদের ট্যাংক অবস্থান করছে। সার্বক্ষণিক নির্বিচারে গোলাগুলি হচ্ছে।”
নিদাল কাসেমী নামে অপর এক ব্যক্তি শাতি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে এসেছেন ত্রাণের আসায়। তিনি বলেন, “আমি এখানে কিছু ত্রাণ আর খাবারের আশায় এসেছি। বাজারে যেসব খাবার আছে সেগুলোর দাম অনেক চড়া, আমাদের সাধ্যের বাইরে। আমরা সেই শাতি ক্যাম্প থেকে এসেছি। শুধুমাত্র অল্প সাহায্যের জন্য। শুধুমাত্র আমাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য।”
আরও পড়ুন: ক্ষুধার তাড়নায় ময়লার ভাগাড়ে খাবার খুঁজছে গাজার মানুষ
ত্রাণ নিতে এসে অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন উল্লেখ করে নিদাল কাসেমী বলেন, “প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। কখনো ৬ জন, ১০ জন, প্রতিদিন। ইসরায়েলিদের ট্যাংক মানুষকে ঘিরে রাখে। আবার গুলি হয়।”
অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক মানুষ বেশি ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন আবার অনেক কিছুই পাচ্ছেন না উল্লেখ করে নিদাল বলেন, “প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ হওয়া উচিত ছিল। দরকার ছিল পরিচয়পত্র দেখে ত্রাণ দেওয়া। এরবদলে সবাই একসঙ্গে ত্রাণ নিতে যাচ্ছে। অনেকে বেশি ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে। আর কেউ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। এটি ক্রাইম।” সূত্র: আলজাজিরা।
এমএল/