পারিবারিক দ্বন্দ্বে বন্ধ পানি বের হওয়ার পথ, ভোগান্তিতে স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ৫ই আগস্ট ২০২৫


পারিবারিক দ্বন্দ্বে বন্ধ পানি বের হওয়ার পথ, ভোগান্তিতে স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী
ছবি: জনবাণী

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ২ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের আলমডাঙ্গা সরকারি   প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে অল্প বৃষ্টিতেই জমে যায় পানি। আশপাশের বাড়ি ও বাজারের পানি এসে জমা হয় এই দুই স্কুলের মাঠে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘসময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে শতাধিক শিক্ষার্থী।


আলমডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আকাশ জানায়, স্কুলে আসার সময় পা পিছলে পড়ে যাই। ব্যাগ, বই আর জামা-কাপড় ভিজে যায়। মাঠে খেলা তো দূরের কথা, ঠিকমতো হাঁটতেও পারি না।


আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবরিনা বলেন , অল্প বৃষ্টিতেই পাশের বাজার আর বাড়ির পানি আমাদের স্কুল মাঠে এসে জমে যায়। মাঠ নিচু হওয়ায় পানি বের হয় না। অনেক দিন পানি জমে থাকায় মশা-মাছি ও রোগবালাই ছড়াচ্ছে।


তাহমিনা আক্তার নামে অপর এক শিক্ষার্থী জানায়, সবদিকে উন্নয়নের ছোঁয়া থাকলেও আমাদের স্কুলে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া নেই। দুটি স্কুলে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে । মাঠে যদি মাটি দিয়ে ভরাট করা হয় আর ড্রেন তৈরি হয়, তাহলে সমস্যা সমাধান হবে।


আলমডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা আক্তার বলেন, মাঠে পানি জমে থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। বৃষ্টির পর স্কুলে আসা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আমরা বারবার বিষয়টি জানালেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।


এ বিষয়ে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মাজেদুর রহমান বলেন, স্কুলে আমি সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। মাঠ অনেক নিচু হওয়ায় আশপাশের পানি সব মাঠে এসে পড়ে। আশপাশের কিছু বাড়ির বাসিন্দা পারিবারিক বিরোধের কারণে স্কুলের পাশে দেয়াল দিয়েছে, যার কারণে পানি বের হওয়ার কোনো পথ নেই। আমি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি, দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস বলেন, আমি জলাবদ্ধতার বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মহোদয়কে জানানো হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে সরেজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এলাকাবাসীর দাবি, দুই স্কুলের মাঠ দ্রুত মাটি দিয়ে ভরাট করতে হবে এবং ড্রেন নির্মাণের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও পড়াশোনা—দুটিই চরমভাবে ব্যাহত হবে।


আরএক্স/