‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৯ এএম, ২৮শে আগস্ট ২০২৫

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ। আগামী ৪ নভেম্বর বিষয়টি কার্যতালিকার শীর্ষে শুনানি হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) দিয়ে এ আদেশ দেন। আদালত স্পষ্ট করেছেন—লিভ মঞ্জুর হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ আপিল শুনানি হবে।
এর আগে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে রায় দেন এবং ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে সাংবিধানিক পদধারীদের পদমর্যাদা ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ এগিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্তদের যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়।
এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ২০১৭ সালে পৃথকভাবে আবেদন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তৎকালীন সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান। এতে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয় গত ২৭ এপ্রিল এবং শেষ হয় ৩০ জুলাই।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও নিহাদ কবির। আর ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রণয়ন করে, যা পরে কয়েক দফায় সংশোধিত হয়। সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে রিট করেন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল ঘোষণা করে আট দফা নির্দেশনা দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনা আবেদনের প্রেক্ষিতেই আজ লিভ মঞ্জুর হয়েছে, ফলে এখন বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ আপিল শুনানির জন্য ৪ নভেম্বর আদালতে ওঠবে।
এসএ/