গাছ রক্ষা করতে গিয়ে দায়ের কোপে হাসপাতালে বৃদ্ধ দম্পতি
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, ২০শে ডিসেম্বর ২০২২
টাঙ্গাইলের সখীপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলাম গংদের হামলায় আ.আলিম (৬৫) এবং তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০) বৃদ্ধ দম্পতিকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চতলবাইদ গ্রামের ভূইয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় দায়ের কোপে আ.আলিম এবং এলোপাথাড়ি কিল,ঘুষি,লাথি খেয়ে তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম ও তার ছেলের বউ নাসরিন আক্তার আহত হয়ে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। আহত আ.আলিম ওই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) এবিষয়ে আহত আ.আলিমের ছেলে এনামুল হক জানায়,আমাদের জমির পাশেই রফিকুল ইসলাম ১১ শতক জমি কিনে এবং ওই জমিতে মোবাইল ফোন টাওয়ার নির্মিত হয়েছে, রফিকুলের বাড়ির কাছেই উত্তর পাশে আমাদের জমি হওয়ার সুবাদে ধীরে ধীরে আমাদের জমির দিকে চাপতে থাকে।
ইতিপূর্বে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম বেশ কয়েকবার সালিশ করেছে এবং আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমরা সাধারণ মানুষ তাই সুষ্ঠ সমাধানের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। উনি এলাকার একজন চিহ্নিত ঝগড়াটে ব্যক্তি। গত ১০-১৫ দিন আগেও আমাদের আট-দশটি পুরাতন কাঁঠাল গাছ কেটে নিয়ে যায়।
আমরা বাধা দিলে তেড়ে আসে।গত বৃহস্পতিবার রফিকুল ইসলাম আমাদের জমির আরো একটা বড় কাঠাল গাছ কাটতেছে এমন খবর এক প্রতিবেশী আমাদের বাড়িতে এসে জানায়। পরে গাছের কাছে গিয়ে গাছ কাটতে বাধা দিলে রফিকুলের হাতে থাকা দা দিয়ে আমার বাবার উপর হামলা করে,দায়ের কোপ আমার বাবার মাথায় লাগলে তিনি আহত হন। এবং আরো একটি কোপ হয় আমার বাবা হাত দিয়ে ঠেকালে হাতের তালুও কেটে যায়।
আমার বাবার ডাক চিৎকারে আমার মা ও ভাবি এগিয়ে গেলে রফিকুলর স্ত্রী রেনু বেগম ও ছেলের বউ রুমা আক্তার আমার মা ও ভাবির উপর হামলা করলে তারাও আহত হয়। বাবা-মা দুজনেই সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। বাবার মাথায় সেলাই করতে হয়েছে এবং ভাবি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই আছেন। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এনামুল হক আরো বলেন, রফিকুল ইসলামের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ, এর আগেও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা শালিস করেছেন কিন্তু তিনি কাউকেি মানেননা। আমার বৃদ্ধ মা- বাবাকে নিয়ে এলাকায় যেনো শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে পারি সে বিষয়ে সমাজবাসী ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বদরুদ্দোজা রাসেল(বদর)বলেন, ঘটনাটি আমি জানি, রফিকুল ইসলাম ঝগড়াটে মানুষ। আমরা সমাধানের চেষ্টা করলেও মানে না। ইতিপূর্বেও তার বিষয়ে একাধিক সালিশ বিচার হয়েছে। আর ওই জমিটিও রফিকুলের না, জমিটি আলিম ও এনামুলদের বলেই জানি।
জানতে চাইলে এবিষয়ে ৮ নং বহরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত। রফিকুল ইসলাম উশৃংখল প্রকৃতির মানুষ। তারপরও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে আমাদের চেষ্টা থাকবে সমাধানের।
আরএক্স/