পঞ্চগড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত, আহত ৫০


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, ২৫শে ডিসেম্বর ২০২২


পঞ্চগড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত, আহত ৫০
পঞ্চগড়ে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

পঞ্চগড়ে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে বিএনপি’র এক বিএনপি কর্মী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ে বিএনপির গণ মিছিল কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।


জানা যায়, এ সময় ২০ পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। এ সময় পুলিশ কমপক্ষে ৫০ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। তবে গুলি করার কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।  কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা গণমিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে শতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলস নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতা-কর্মীরাও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। 


এ ঘটনায় বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি উইনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫১) সহ কয়েক জন বিএনপি নেতাকর্মীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন। তবে হাসপাতালে নেওয়ার আগের আব্দুর রশিদ আরেফিন মারা যান বলে দায়িত্বশীল চিকিৎসক জানায়।  নিহত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের পাথরাজ এলাকায়। তিনি ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক। পুলিশ কোন আটক বা গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেনি। তবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীকে পুলিশ ভ্যানে তুলতে দেখেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।


জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বিএনপি নেতা এড মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করেছে। পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জে আমাদের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। একজন বিএনপি নেতা মারা যাওয়ার খবরও শুনতে পাচ্ছি। 


জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, সারা দেশের মত পঞ্চগড়েও গণমিছিল কর্মসূচী পালন করছিল। কিন্তু পুলিশ শান্তিপুর্ন কর্মসূচীতে বাধা দেয়। এতে আমাদের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি উইনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন মারা যান। বেশ কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।


পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তৌফিক আহামেদ বলেন, আরেফিন নামে একজন রোগী হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। তবে তিনি কিভাবে মারা গেছে তা এখনো নিশ্চত করে বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষানিরিক্ষার পর বলা যাবে।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা কোন গুলি করিনি। তাই গুলিতে মারা যাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। কিভাবে কি হয়েছে এখনও জানা যায়নি। তারাই আমাদের উপর ইটপাটকেল ছুড়েছে। তারা মারমূখি হলে তাদের ছত্রভঙ্গ আমরা ২০/২৫ রাউন্ড টিয়ারসেল ছুড়েছি। আমাদের প্রায় ২০ পুলিশ আহত হয়েছেন। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।।