ভিজিডির ৬৯০ কেজি কার্ডের চাল আত্মসাৎ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নীলফামারীর ডিমলায় সদর ইউনিয়ন'র ভাটিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী আমিনুর রহমান'র স্ত্রী গোলাপজানের নামে দুই বছর আগে দুই বছর মেয়াদী ভিজিডির একটি কার্ড নিবন্ধিত হয়েছে, তিনি জানতেন তার নামে কোন কার্ড নিবন্ধন হয়নি। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন তার নামে একটি ভিজিডি কার্ড ইউনিয়ন পরিষদ সম্পন্ন করেছে।
একই গ্রামের প্রতিবেশী জয়নাল আবেদীন কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ২ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন।
গোলাপজান জানান, গত ২৩ মাসে ৬৯০ কেজি চাল উত্তোলন করছেন অন্য কেউ, আমার নামে কার্ড হয়েছে শোনার পর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জনতে পারি আমার নামও তালিকায় রয়েছে। অথচ আমি কার্ড ও চাল কিছুই পাই নি। তিনি বলেন,আমি জানতে পারি জয়নাল প্রতারনা করে আমার কার্ডটি দিয়ে নিজেই চাল উত্তোলন করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু গোলাপজান নয়, এই ইউপিতে একইভাবে আরও কয়েকজনের নামে কার্ড করে অন্যরা চাল নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কার্ডের বিপরীতে গত ২৪ মাসে কয়েকহাজার কেজি চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
পরিষদে উপকার ভোগীদের উন্মুক্ত তালিকা না থাকায় একজনের কার্ড ব্যবহার করে অন্যজনের চাল নেওয়ার সুযোগও তৈরি হয়।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পূরবী রানী রায় বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভিজিডি কার্ডের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি যাচাই বাছাই করে দেখেন কার্ডটি গোলাপজানের নামে রয়েছে। কার্ডটি তার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য সদর ইউপি সচিবকে বলেছেন।
ইউপি সচিব রমজান আলী বলেন, তিনি কিছুদিন আগে যোগদান করেছেন। চাল বিতরণ কার্যক্রমে ছিলেন না। তিনি জানান, দুই বছর মেয়াদি গোলাপজানের কার্ডটি দিয়ে ২৩ দফায় অন্য কেউ চাল তুলে নিয়েছে । পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কার্ডটির শেষ মেয়াদের ৩০ কেজি চাল গোলাপজানকে দেওয়া হয়েছে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার কার্ডটি তাকে দেওয়া হয়নি।
ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান হাচানুর রহমান বলেন, গোলাপজান এই কার্ডে চাল উত্তোলন না করলেও গত ২৩ মাসে তার নামের ৬৯০ কেজি চাল কে বা কারা তুলে নিয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রকৃত কার্ডধারী যদি তার কার্ড সম্পর্কে না জানেন এবং ভিজিডির চাল না পেয়ে থাকেন, সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছি।এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন হাতে পাইনি। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএক্স/