ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পাঁচটি মন্দিরে বেশ কিছু প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে প্রতিমা ভাঙচুরের এ ঘটনার পর থেকে সে এলাকার মন্দির গুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জোতিময় সিংহ গতকাল সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে এ মামলাটি করেন। এতে তিনি কারণ হিসেবে বলেছেন, রাতের আঁধারে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।
এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের জাউনিয়া কলেজপাড়া গ্রামের একটি, চাড়োল সাবাজপুর পশ্চিমনাথপাড়া মোড়ে একটি ও ধনতলা ইউনিয়নে সিন্দুরপিন্ডি গ্রামের তিনটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ধনতলা ইউনিয়নের জীতেন্দ্র নাথ বণিক তার বাড়ির কাছের একটি মন্দিরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অনেক বেশি। মুসলমান মানুষের সংখ্যা কম। ১৪ হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে বসবাস করে। মুসলমানের সংখ্যা চার হাজার। তবে কেউ কোনোদিন এখানে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বড় ধরনের কোনো ধর্মীয় বিভেদ দেখেননি। বরং একে অপরের উৎসবে অংশ নিয়ে থাকেন; আনন্দ করেন।”
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ বলেন, আমারা সে এলাকায় মন্দির গুলো পরিদর্শণ করেছি এবং ভাঙ্গা প্রতিমা গুলি দেখেছি। ওই এলাকার মানুষের মধ্যে একটা ত্রাস সৃষ্টি এবং মানুষের মাঝে অশান্তি তৈরী করতেই একটা ক’চক্রি মহল এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে। অপরাধিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি ।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “দুই সম্প্রদায়ের লোকেরাই এখানে মিলেমিশে আছে। এ দুই সম্প্রদায়ের সম্পর্ক নিয়ে এটা হয়েছে এমনটা আমার কাছে মনে হয় না। তবে যারা এই কাজটা করেছে তারা এখানকার সুন্দর একটা পরিবেশকে নষ্ট করার জন্যই এমনটা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে এখনও কোনো বা কারো বিরুদ্ধে প্রমান পাইনি। এ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, কাজ চলছে। আমরা আশা করি, এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের হয়তো অচিরেই আইনের আওতায় আমরা আনতে পারব।”
আরএক্স/