উত্তরবঙ্গে ফাগুনের আগুন নিয়ে হাজির বসন্তের দূত


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


উত্তরবঙ্গে ফাগুনের আগুন নিয়ে হাজির বসন্তের দূত
শিমুল ফুল

ফাগুনের আগুন নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির বসন্তের দূত। ঋতুরাজ মানে শুকনো ঝরা পাতার খেলা আর ফোটা ফুলের মেলা। শীতের প্রকৃতি গাইছে অন্য সুর। শীতের কানে কানে পৌঁছে দিচ্ছে বাসন্তী প্রকৃতির মন্ত্র। ফুলকি ছড়াতে শুরু করেছে পলাশের আগুন। বসে নেই শিমুলও। রাঙিয়ে তুলেছে শাখা-প্রশাখা।


উত্তরের বাতাস বিদায়। শুরু হয়েছে দখিণার গুঞ্জন। প্রকৃতিতে ফাগুন লেগেছে। গ্রামাঞ্চলে ক্ষণে ক্ষণে ধ্বনিত হচ্ছে কোকিলের কুহুতান। ঘরছাড়া সুরে মাতোয়ারা পাখিরাও। বনে-বাদাড়ে সংগীত-জলসার আয়োজনে ব্যস্ত তারাও।


আড়মোড়া ভেঙে নতুন সাজে সেজেছে প্রকৃতি। পাতা ঝরার মর্মর ভেদ করে গাছে গাছে দেখা দিয়েছে সবুজ পাতা, কলি ও নানা রঙের ফুল। বাগানে বাগানে মধুকরদের সম্মিলন। ফুলে ফুলে সজ্জিত প্রকৃতি পাখিদের কিচিরমিচির জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা।


বুধবার (৮-ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা  উপজেলার কুটিরডাঙ্গা এলাকার জলঢাকা সড়কে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ধারের নতুন কুড়ি ও ফুলে রাঙা হয়ে উঠেছে শিমুল গাছ গুলো। রাস্তার ধারে শিমুল গাছে প্রকৃতির আদরমাখা স্পর্শে জেগে উঠেছে। শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে প্রকৃতি ফিরে পেতে চলছে ফুল ও রঙের এক অপরূপ সমারোহ, আগমনী বার্তা ছড়াচ্ছে বসন্তের। শিমুলের হাসিতে বনে লেগেছে লাল রঙের ছোয়া। নানান পাখির মিষ্টি কিচিরমিচির মাতাল করতে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত সবুজ-শ্যামল বাংলায়।


উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নাবিল আনন্দ ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে প্রকৃতি। ইট-কাঠের এই যুগে আগাম বসন্তে প্রকৃতি যেন তার সব সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে।সেই সাথে নতুন কুঁড়িতে ছেয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফলদ বাগানের বৃক্ষরাজি।


উপজেলার গয়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জামান মৃধা  বলেন, ‘পলাশ-শিমুলসহ বেশ কিছু ফুল ফাল্গুন-চৈত্র মাসে ফুটে। তবে এমন নয় যে একেবারে ফাল্গুনেই ফুটে। শীতের শেষে আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী ফুলগুলোর গঠন পরিবেশ চলে আসে। অঞ্চলভেদে ফুল ফোটার সময়ে ভিন্নতা দেখা দেয় কিছু আগে পরে। তবে পলাশ-শিমুল ফুলগুলোর প্রাচুর্য থাকে বসন্তকালে।’


তিনি আরও বলেন, ‘বৈষিক দূষণ আর জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে ধীরে ধীরে প্রতিটি ঋতুই হারাচ্ছে তার নিজস্ব বৈচিত্র্য আর সৌন্দর্য। প্রকৃতিকে স্বরূপ ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজন পরিবেশ দূষণ রোধ ও ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণ করা।’


আরএক্স/