১০ টাকা জন্য শিশুকে জবাই করে হত্যা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


১০ টাকা জন্য শিশুকে জবাই করে হত্যা

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলায় ইয়ামিন হোসেন (৮)  এক শিশুকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ইয়ামিন কানাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্র ছিলো।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ৩ টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের এঘটনা ঘটে। শিশু ইয়ামিন কানাইডাঙ্গা গ্রামের বৃত্তিপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের নাতি ও একই উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে। 

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জাহিদ হাসান পলাতক রয়েছে। জাহিদ হাসান (১৬) কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ড কানাইডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আশাদুল ইসলামের ছেলে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর থেকে শিশু ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন আলী কানাইডাঙ্গা গ্রামের নানা-নানির কাছেই থাকতো। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার দুপুরে সহপাঠী ও বড় ভাই ইমনের সাথে খেলছিল শিশু ইয়ামিন। এ সময় অভিযুক্ত জাহিদ হাসান শিশু ইয়ামিনকে ৩০ টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য পার্শ্ববর্তী দোকানে পাঠায়। ইয়ামিন ২০ টাকার মুড়ি কিনে অবশিষ্ঠ থাকা ১০ টাকা খরচ করে ফেলে। পরে জাহিদ বাকী টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায় তাকে পার্শ্ববর্তী মুজিবরের আমবাগানের একটি আমগাছে দড়ি দিয়ে বেধে বেধড়ক মারধর করে। এতে ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন ভয় পেয়ে বাড়িতে গিয়ে তার নানাকে বিষয়টি জানায়। এর মধ্যেই জাহিদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশু ইয়ামিনের গলা কেটে মরদেহ পাশের গর্তে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ইয়ামিনের নানা-নানীসহ পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির পাশে  ইয়ামিনের জবাই করা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।  খবর পেয়ে দামূড়হুদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

কার্পাসডাঙ্গা ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) দৈনিক জনবাণীকে বলেন, মুড়ি কেনার অবশিষ্ট ১০ টাকা খরচ করায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযুক্ত জাহিদকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।  হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এসএ/