পঞ্চগড়ে সজিনা ১২০ টাকা কেজি, দেশি চিনি উধাও
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, ১১ই মার্চ ২০২৩
পঞ্চগড়ে দেশি চিনি উধাও। উৎপাদিত সাদা চিনিপ্রতি কেজি এখন ১২০ টাকা কেজি। অথচ সরকার নিধার্রিত দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে না । চাহিদা না বাড়লেও রমজানকে সামনে রেখে বেড়েছে ছোলার দাম। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। যা কদিন আগে ছিল ৮০ টাকা।
পঞ্চগড় বাজারে এখন প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা। কমেনি চালের দাম দাম। ৫৫ টাকার নিচে মান সম্মত চাল পাওয়া মুসকিল। প্যাকেটজাত চিনিগুড়ায় এখন হাত দেওয়া যায়না। এই চিনি গুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। যা ছিল ১০৫ টাকা।
কাপড় কাঁচা গুড়া ডিটারজেন্ট যা ছিল ১১০ টাকা প্রতি কেজি। তা এখন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গোসল করার যে সাবান ছিল ৪০ টাকা। তা এখন ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সোনালি মুরগী এখন প্রতি কেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ছিল ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজি। বয়লার মুরগী একলাফে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। যা ছিল ১৪০ টাকা। কক বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি। আগে ছিল ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি। কমেনি সয়াবিনের দাম। প্রতিকেজি বোতলজাত সয়াবিন এখনও ১৮০ টাকা লিটার। খোলা সয়াবিন কেজি ১৮০ টাকা।
গালামাল ব্যবসায়ি হাসিবুল জানান, ‘আমরা তো কিনে বিক্রি করি। বড় ব্যবসায়িরা যখন যে দর নেয় ‘তাই দিয়ে আমাদের পন্য কিনতে হয়। আমাদের লাভ তো সীমিত। গালামাল ব্যবসায়ি রানা জানান, এখন বিনিয়োগ বেশি। বেচাকেনা ভালো নয়। অবস্থা খারাপ
এদিকে নতুন দেশি রসুন বাজারে এলও দাম বেশি। দেশি এই রসুন এখন ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন সজিনা বাজারে আসলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। প্রতিকেজি সজিনা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। তবে ১০০ টাকার ঢেঁড়ষ ও করলা কমে এখন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। দেশি ও এলসির পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।
আব্বাস উদ্দীন নামে একজন ক্রেতা জানান, দেশি মুরগি কিনতাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এখন দেশি মুরগি কিনতে পারছিনা। যা দাম‘ কক নিয়ে বাড়ি যেতে হয়।সবজি ব্যবসায়ি সেলিম জানান, ‘কমে যাবে। সরবরাহ একটু কম তো। এছাড়া গরুর মাংসের দাম আগের জায়গায় থাকলেও বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। ৮৫০ টাকা কেজির খাসি এখন ৯৫০ টাকা। এছাড়া মাছের দামও বাড়তি।