‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে’
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
উচ্চ
মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হয়েছে তার ওপর ভিত্তি
করে ‘ভর্তি পরীক্ষা’ নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনি।
রবিবার
(১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি
ও সমমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য
করেন।
এবার
উত্তীর্ণদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা পুরো সিলেবাসে হবে কিনা প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা যে সিলেবাসে হয়েছে, আমাদের মতামত হলো ঠিক সেই সিলেবাসের
ওপর ভর্তি পরীক্ষাগুলো হওয়া যৌক্তিক। এর বাইরে মনে করি না যে কেউ করবে। কিন্তু যদি
কেউ করতে চায় আমরা তাদের অুনরোধ করবো।
শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, মেডিক্যাল শিক্ষার ক্ষেত্রে যিনি স্বাস্থ্য শিক্ষার দায়িত্বে আছেন তার সঙ্গে
কথা বলেছি। এছাড়া আমাদের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতি করেছে―তাদের
সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও একমত। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে
তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। বড় যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়, যারা গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসেনি―তারাও
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
আমাদের
মতামত হলো যে সিলেবাসে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা হয়েছে ঠিক সেই সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা
হওয়া উচিত। তা না হলে শিক্ষার্থীদের প্রতি সুবিচার করা হবে না।
দ্বিতীয়বার
ভর্তির সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি একেবারে
বৈশ্বিক পরিস্থিতি, বিশ্বমানের কথা চিন্তা করি, তাহলে আসলে কোনও বাধা থাকার কথা না।
কিন্তু আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক করেছে একবারের বেশি না। আগে দুবার দেওয়া
যেত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একবার পরীক্ষা দেওয়ার পর আরও সুযোগ ছিল। এখন সেই সুযোগ রাখা
হচ্ছে না। এটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তারা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
আমরা বিষয়গুলো নিয়ে ইউজিসিসহ তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বলছি।’
শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, ‘আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীদের জন্য এই সুযোগ যদি বাড়াই, তাতে তো অসুবিধা নেই।
আপনি যে মেধার শিক্ষার্থী নেবেন, আপনি তো সেই মেধার শিক্ষার্থীই নিচ্ছেন। আপনি তো তার
থেকে মেধার মান কমিয়ে নিচ্ছেন না। যদি একাধিক সুযোগ দিয়ে একই মেধার শিক্ষার্থীরকে নেন,
তাহলে সেই ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তি থাকা উচিত না। আমরা যেমন কারিগরি শিক্ষার
ক্ষেত্রে বয়সের যে বাধা ছিল, সেটাও তুলে দিয়েছি।’
শিক্ষামন্ত্রী
আরও বলেন, ‘আমরা যারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পড়বার সুযোগ পেয়েছি, বিভিন্ন বয়সে পড়েছি।
সেখানে কোথাও কোথাও মাঝখানে ব্রেক অব স্ট্যাডি আছে। এগুলোর কোনোটাই কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
আমাদেরও এক সময় হয়তো সেই জায়গায় যেতে হবে। সেটা কি এখনই যেতে পারবো, নাকি আরও কিছু
সময় লাগবে, তা হয়তো আমাদের বিবেচনার বিষয়। কিন্তু যে কোনও পর্যায় থেকে যে কেউ যেন একটা
উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়, সেই সুযোগটা আমাদের করে দিতে হবে।’
এরআগে
দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলের বিস্তারিত পরিসংখ্যান
তুলে ধরেন।
ওআ/