৪২ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, সতর্ক করতে মাইকিং


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১৬ই এপ্রিল ২০২৩


৪২ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, সতর্ক করতে মাইকিং
ফাইল ছবি

টানা ১৪ দিন ধরে তাপপ্রবাহে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে জেলার চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন। শনিবার (১৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে অতি দাবদাহ। ঝাঁঝালো রোদ আর গরমে রোজাদারদের অবস্থাও ওষ্ঠাগত। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সহজে দেখা মিলছে না বৃষ্টির। শনিবার বেলা ৩টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। 


তীব্র তাপদাহে জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দুপুর বেলা বাহিরে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া দেওয়া হচ্ছে কয়েকটি নির্দেশনা- হিটস্ট্রোক, পানি শূন্যতা ও ডায়রিয়া আক্রান্ত যাতে না হয় সাধারণ মানুষ। 


চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিদিনই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হচ্ছে। গত টানা ২ সপ্তাহ ধরে জেলায় সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আজ সকাল ৯টায় ছিল ৩০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা বেড়ে ৪০.৪ ডিগ্রি হয়ে যায়। এরপর বেলা ৩টায় ৪২.২ ডিগ্রীতে পৌঁছায়। শুরু হয় অতি দাবদাহ। আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে তবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। 


এদিকে, তীব্র তাপমাত্রার ফলে  সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও কৃষক। অপরদিকে, তীব্র খরায় ঝরে যাচ্ছে আম-লিচুর গুটি। বোরো ধান, সবজি ক্ষেতে প্রতিদিন সেচ লাগছে বলে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। বাড়তি দামে প্রতিদিন ডিজেল কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস ছুটে যাচ্ছে তাদের।


জেলা আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের রেকর্ড অনুযায়ী, শুক্রবার এ জেলায় ৪১.৭ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার ছিল ৪১ ডিগ্রী, বুধবার ছিল ৩৯.৭ ডিগ্রি, মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার জেলায় সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি, রোববার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি, শনিবার ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি ও শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।