চাঁদা খেতে যেয়ে গণধোলাই খেল ইউপি সদস্য
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে খাল পুনঃখনন কাজে বাধা দেয়া ও চাঁদা দাবি করায় ইউপি মেম্বারকে গণধোলাই দিয়েছেন উপপ্রকল্প এলাকার উপকারভোগী জনতা।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভ্যাবলা গ্রামে প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও সমিতি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাটারা ইউনিয়ন এবং মহাদান ও জামালপুর সদরের তিতপল্লা ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে হাসরা বিল থেকে বামনজি বিল পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার খাল পুনঃখনন এর কাজ চলছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে খালটি খননের জন্য এলজিইডি জামালপুর ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় খালটি পূর্ন:খননের প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। আর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার নিবন্ধিত হাসরা বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর মাধ্যমে।
সম্প্রতি খালটি পুনর্খননের কাজ শুরু করা হয়েছে। এদিকে তিতপল্ল্যা ইউনিয়নের অংশের কাজ শুরু করা হলে ওই এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিলন মিয়া কাজে বাধা ও চাঁদা দাবি করেন। এ নিয়ে কয়েকদিন যাবত দেন-দরবার চলে আসছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
রোববার দুপুরে মেম্বার মিলন মিয়া প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজ বন্ধ করার কথা বলেন এবং এক পর্যায়ে কতিপয় লোকজন পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
এরপর আবারও কাজ শুরু হলে মেম্বার মিলন মিয়া সন্ধার পর প্রকল্প এলাকায় গিয়ে খাল খননের কাজে নিয়োজিত এসকেভেটর (ভেকু) বন্ধ করার হুমকি দেন। এসময় তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে এলাকার উপকারভোগী জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি মেম্বার মিলনকে মারপিট করেন।
ইউপি মেম্বার মিলন মিয়া চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি রাত নয়টার দিকে জানতে পারেন ভেকু দিয়ে খাল খননের কাজ আবার চলছে।
তিনি সশরীরে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেন এবং পরদিন বসে সমঝোতার মাধ্যমে কাজ করার অনুরোধ জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করে।
সমিতির সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, মিলন মিয়া বারবার প্রকল্প কাজে বাধা দিচ্ছিলেন এবং সমঝোতার কথা বলে টাকা দাবি করে আসছিলেন। সরকারি কাজ বাস্তবায়নে বাধা দেয়ায় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গণধোলাই দিয়েছে ।
প্রকল্পের তত্ত্বাবধানকারী উপসহকারী প্রকৌশলী শাকিল আহমেদ জানান, খালটি খনন হলে এক ফসলী জমিতে তিন ফসল ফলানো সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে কেউ এ কাজে বাধা দিতে পারেনা।
এসএ/