শব্দ দূষণের উৎসগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি সচেতন হতে হবে


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, ২৭শে এপ্রিল ২০২৩


শব্দ দূষণের উৎসগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি সচেতন হতে হবে
ছবি: জনবাণী

দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনিচুর রহমান বলেছেন, শুধু আইন দিয়ে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়- এর জন্য চাই সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক আন্দোলন। শব্দ দূষণের উৎসগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। এ ব্যাপারে সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে।


‘সুরক্ষিত শ্রবন- সুরক্ষিত জীবন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বুধবার (২৬ এপ্রিল) পরিবেশ অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রনে সমন্বিত ও অংশীদারিত্ব প্রকল্পের আওতায় আর্ন্তজাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 


আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলা কার্যালয় সহকারী পরিচালক একেএম সামিউল আলম কোরসী। 


বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম, হাবিপ্রবি’র কৃষি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. যোবায়েদুর রহমান। 


মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন দিনাজপুর টিআই প্রশাসন মো. আতাউর রহমান, সাংবাদিক গোলাম নবী দুলাল, তনুজা শারমিন তনু, রামকৃষ্ণ আশ্রমের সদানন্দ মহারাজ। 


পরিবেশ অধিদপ্তর দিনাজপুরে সহকারী পরিচালক একেএম সামিউল আলম কোরসী বলেন, শব্দ হচ্ছে একটি তরঙ্গ। শব্দ দূষণ যা প্রানীর নার্ভাস সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। শ্রবণ শক্তি হ্রাস ও স্থায়ী ভাবে নষ্ট হয়, শিশুর মেধা বিকাশ ব্যহত হয়। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে যানবাহনের হর্ণের অযথা ব্যবহার, নির্মাণ কাজের যন্ত্রের শব্দ, শিল্প কারখানার শব্দসহ, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে, মসজিদ-মন্দিরের সামনে অযথা হর্ণ বাজানো থেকে বিরত থাকতে সকলকে সচেতন করতে হবে। মনে রাখবেন, শব্দ দূষণ থেকে ৩০টি কঠিন রোগ হতে পারে।