ধলাই নদীতে বিষ দিয়ে মাছ নিধন, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ধলাই নদীতে বিষ দিয়ে মাছ নিধন, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করছে কিছু দুর্বৃত্তরা মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার সময় দেখা যায় ধলই নদীতে কিছু দুর্বৃৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে এবং দেখা যায় স্থানীয়রা মাছ সংগ্রহ করার জন্য হুমড়ি খাচ্ছে নদীতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কে বা কারা নদীতে বিষ প্রয়োগের ফলে অনেক মাছ মারা গেছে। এতে নদীর তলদেশ থেকে মাছ মরে ভেসে উঠছে। আর এসব মরা মাছ সংগ্রহ করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতের আঁধারে একশ্রেণির মৎস্য শিকারি ধলাই নদীর উজানে বিষ প্রয়োগ করে। আর এতে মঙ্গলবার সকাল থেকে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখা গেছে। এসব মরা মাছ বিষাক্ত জানার পরও লোকজন তা ধরতে মশারি জাল নিয়ে নদীতে নেমে পড়েছে। প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় নদীর মাছ ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্য মরে ভেসে উঠেছে।

কমলগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা সালাহ্উদ্দিন শুভ বলেন, প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে ধলাই নদীতে বিষ ঢেলে মাছ শিকার করা হয়। কিন্তু যারা এসব কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুর্বৃত্তরা প্রতিবছর বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ ধরেই যায়।

বিষ মেরে ভেসে উঠা মাছ ধরে নিয়ে রান্না করে খেলেও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম, মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া। তিনি আরো বলেন, মাছ মরা শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ। আর বিষে মরা মাছ রান্না করে খেলেও পেটের পীড়াসহ নানা রোগও হতে পারে। কারণ বিষ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর একটি উপাদান। আর এ উপাদান দিয়ে মারা মাছ খেলেতো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহিদুর রহমান জনবাণীকে বলেন, আমার বিষয়টি জানা ছিল না, কেউ আমাকে এমন তথ্য দিয়েও সহযোগিতা করেনি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তবে সরেজমিন তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মৎস্য বিভাগ মিলেই ধলাই নদী বিষ ছাড়া বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জনবাণীকে বলেন, এটি একটি কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধলাই নদীর পানিতে বিষ ছাড়ার বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের তিনি নির্দেশ দিবেন বলে জানান।

এসএ/