পঞ্চগড়ে শুকনা মরিচ সংরক্ষনে ব্যস্ত কৃষক


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, ৭ই মে ২০২৩


পঞ্চগড়ে শুকনা মরিচ সংরক্ষনে ব্যস্ত কৃষক
শুকনা মরিচ সংরক্ষনে ব্যস্ত কৃষক

মরিচের দাম পেয়ে কৃষকের মন চাঙ্গা। পঞ্চগড়ের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে মরিচের চাষ হয়েছে। এখন চলছে মরিচ তোলার মৌসুম।বর্ষার আগ পর্যন্ত দফায় দফায় উঠবে ক্ষেতের মরিচ। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণি। মরিচ তুলেই তারা আবার আমন চাষে ঝূঁকবেন। করবেন বীজতলা‘ এমনটা আশা তাদের।


জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। গতবার ৮ হাজার ৩৩৪ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছিল। এতে শুকনা  মরিচের মোট উৎপাদন ছিল ১৭ হাজার মেট্রিক টনের উপড়ে। কৃষি কর্মকর্তরা জানান , পাঁচ মন কাচা মরিচ শুকিয়ে একম মন শুকনা মরিচ হয়।


পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়ন , গড়িনাবাড়ি এবং আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়ন , মির্জাপুর সহ জেলার নানা এলাকা ঘুরে দেখা গেলো মাঠ জুড়ে মরিচ আর মরিচ। কেউ ক্ষেতের মরিচ তুলতে ব্যস্ত ‘কেউবা মরিচ শুকাতে ব্যস্ত। ব্যস্ত কৃষকের পরিবার-পরিজন। কৃষকের অনেকেই জানান, মাঝখানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মরিচের ফলন তুলনা মূলক কম। তারপরেও তিন থেকে চার দফায় ক্ষেত থেকে মরিচ তোলা যাবে।


পঞ্চগড় সদর উপজেলার ফুটকীবাড়ি, নতুন হাট, আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর এলাকার স্কুল মাঠ, গাছবাড়ি ,ডাঙ্গীরহাট, শুকনো পুকুরের ধারে, রাস্তার পাশে নিজ বাড়ির আশপাশে চলছে পাকা মরিচ শুকানোর ধূম। সদর উপজেলার কাশিমপুর এলাকার কৃষক হাফিজার রহমান বলেন ‘ আমি দুই বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ করেছি। বিঘায় ১০ থেকে ১৫ মন শুকনা মরিচ পাওয়া যাবে।এবার তিনি প্রতিমন শুকনা মরিচ বিক্রি করেছেন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। তার বিঘায় খরচ সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা। হাফিজার বলেন ‘ গতবার তিনি প্রতিমন শুকনা মরিচ বিক্রি করেছেন ১০হাজার টাকা। মরিচ তোলা শেষ হবে আষাঢ় মাস পর্যন্ত। ওই একই এলাকার কবীর হোসেন দেড় বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। আটোয়ারী উপজেলার গাছবাড়ি এলাকার কৃষক শাহআলম বলেন তিনি এবার শুকনা মরিচ প্রতিমন ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। দাম একটু কমেছে‘ তবে তিনি মরিচ শুকিয়ে রেখেছেন‘ তার মতে,আবহাওয়া ভালো থাকলে উৎপাদন আরো বাড়তো।ওই এলাকার ডাঙ্গীর হাটের কৃষক শাহজাহান হোসেন তিনি চার বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। গাছবাড়ি এলাকার আবু সালেক ও শাহজাহান আলী দুজনেই এক বিঘা করে মরিচ চাষ করেছেন বলে জানান।


এদিকে শনিবার পঞ্চগড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাচাঁ মরিচের দাম বেড়ে প্রতি কেজি  বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। মরিচের ক্ষেত ঘুরে দেখা যায় মরিচ তুলেই অনেকেই প্রতিদিন আয় করে ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা। প্রæতি কেজি মরিচ তুললে দেওয়া হয় ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা। পাচঁ মন কাচা মরিচ শুকিয়ে একমন শুকনা মরিচ হয় বলে জানা কৃষি কর্র্মকর্তা আনোয়ার সাদেক।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরে উপ পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন বলেন ‘ মরিচের যথেষ্ট আবাদ হয়েছে ‘দাম পাচ্ছে চাষীরা। পঞ্চগড়ের মরিচ তো কাঁচা মরিচ হিসেবে বিক্রি হয়না। কৃষকরা মরিচ শুকিয়ে সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করে ‘ এখন তো ভরা মৌসুম এবং এতে তারা দামও পায়। বর্ষাকাল পর্যন্ত এই মরিচ তোলার কাজ চলবে।


আরএক্স/