ময়মনসিংহে যুবককে মিথ্যা বিয়ের ফাঁদে ফেলে কনেসহ কারাগারে ৩

ময়মনসিংহে জাল বিয়ের এফিডেবিট ও বিয়ের কাগজ তৈরী করে মো. শান্ত মিয়া (২২) নামে এক যুবকের নামে মিথ্যা মামলা করায় কনেসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। 

ভিক্টিম মো. শান্ত মিয়া জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার দত্তের বাজার বিরুই গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কাগারাগারে পাঠানোরা হলেন, একই গ্রামের ছাইফুল ইসলামের মেয়ে মোছা. স্বর্নালী আক্তার, তার বোন মোছা. ববিতা খাতুন (৩২) ও শহীদ উল্লাহ ছেণে বেলা মিয়া।

বাদী পক্ষের আইনজীবি সুপ্রিম ল কলেজের প্রিন্সিপাল ও আইনজীবি অ্যাড. গোলাম মোস্তফা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল শান্ত মিয়াকে ভুয়া বর বানিয়ে আসামী স্বর্নালী আক্তার, তার বোন ববিতা খাতুন, সেলিনা আক্তার, বেলাল মিয়ার সহযোগীতায় জাল কাবিননামা ও ভুয়া এফিডেফিট তৈরী করে। এসব কাগজ তৈরী করার পর স্বর্নালী আক্তার তাকে ঘরে তুলে নেয়ার জন্য শান্ত মিয়াকে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে শান্ত মিয়া বাদী হয়ে ওই মাসে হয়ে গফরগাঁও সিনিয়র সরকারী জজ আদালতে জাল বিয়ের ঘোষণা মূলক মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এফিডেভিট ও বিয়ের কাবিননামা জাল বলে প্রমানিত হয়। 

পরে মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হওয়ায় গফরগাঁও সিনিয়র সহকারী জজ খন্দকার তাসনোভা হক গত ১ জানুয়ারী ফৌজদারী কার্যবিধ ১৯৫ (গ) ধারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। ওই মামলায় আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। তবে, আসামী পক্ষ আদালতে হাজিরা দিলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এবিষয়ে শান্ত মিয়া বলেন, আসামী স্বর্নালী ভুয়া ভুয়া বিয়ের এফিডেভিট ও বিয়ের কাগজ দিয়ে যৌতুক মামলা করেছিল। ওই মামলায় আমি ১৫ দিন জেল হাজতে ছিলাম। পরে আমি ওই ভুয়া বিয়ের এফিডেভিট ও বিয়ের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় আদালত আমার পক্ষে রায় দেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। মিথ্যা মামলা করে আমাতে হয়রানী ও সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য আমি তার শাস্তি চাই।

আরএক্স/