ঘুষমুক্ত নিয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মরিয়া একটি স্বার্থান্বেষী মহল


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:১৬ অপরাহ্ন, ২৩শে অক্টোবর ২০২৩


ঘুষমুক্ত নিয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মরিয়া একটি স্বার্থান্বেষী মহল
ছবি: সংগৃহীত

শেরপুর জেলার সিজেএম কোর্টের ঘুষমুক্ত একটি নিয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মরিয়া একটি স্বার্থান্বেষী চক্র। জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ইং নিয়োগ প্রক্রিয়ার সকল নিয়ম মেনেই শেরপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সকাল ৯ টায় চাকুরী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। 


পেশকার ২, ক্যাশ সরকার ১, প্রসেস সার্ভার ৩, অফিস সহায়ক ৩ ও নিরাপত্তা কর্মী ১জন মোট ১০ জন কর্মচারী নিয়োগের জন্য নেওয়া হয় এই পরীক্ষা। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য হতে যথারীতি মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের নামের তালিকা নিয়োগের জন্য সুপারিশসহ শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ বরাবর প্রেরণ করা হয়। 


আর এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় জেলা ও দায়রা জজ তৌফিক আজিজের দেওয়া গঠিত কমিটির মাধ্যমে। উল্লেখ্য ২০১৮ সনে শুরু হওয়া এই নিয়োগ কার্যক্রমটি অনিবার্য কারণবশত বন্ধ হলেও জেলা জজের নির্দেশেই ২০২৩ সনের শেষের দিকে এসে তা সম্পন্ন করেন শেরপুরের সিজেএম। বিধি অনুসারে দুটি পত্রিকায় দেওয়ার নিয়ম। 


পরে নিয়োগ কমিটি দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আদালতের নোটিশ বোর্ডেও টানিয়ে দেয়। এদিকে নিয়োগের চারদিন পর গত ১৮ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলা হতে প্রকাশিত দৈনিক আশার দিগন্ত নামে পত্রিকায় শেরপুর প্রতিনিধির বরাত দিয়ে “শেরপুরে সিজেএম কোর্টে ০৯ পদে জনবল নিয়োগে জনমনে নানা প্রশ্ন” শিরোনামে একটি সংবাদ অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। 


সরেজমিনে জানা গেছে, দৈনিক আশার দিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটির কোন সত্যতা নেই। প্রকাশ্য দিবালোকে পরীক্ষা নেওয়া কি কঠোর গোপনীয়তা? একাধিক নিয়োগ প্রার্থীর সহিত এই প্রতিবেদক কথা বললে তারা জানান, কেউ পত্রিকা দেখে বা কেউবা সিজেএম কোর্টের নোটিশ বোর্ডে লাগানো বিজ্ঞপ্তি দেখে চাকুরীর আবেদন করেছেন। নিয়োগের ব্যাপারে কসাই থেকে শুরু করে অনেকের সাথে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে আদালতের নাম ভাঙ্গিয়ে ২০ হতে ৩৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করার তথ্য টক অব দি টাউনে পরিণত হয়েছিল। 


যেখানে নিয়োগ ফাইলে জেলা ও দায়রা জজ তৌফিক আজিজের দেয়া গঠিত কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় সেখানে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা জানেনা মর্মে যে অভিযোগ ওঠেছে তা কি করে সত্যি হয় এমন প্রশ্ন সবার মুখে। জজ কোর্ট/ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট অঙ্গনসহ শেরপুর অঞ্চলের সচেতন মহল মনে করে যারা বিভিন্ন চাকুরী প্রত্যাশীদের নিকট হতে মোটা অংকের ঘুষ হাতিয়ে নিয়ে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় তাদের প্রার্থীদের কৃতকার্য করাতে পারে নাই তারাই এই ঘুষ ও দূর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ নিয়োগকে বাতিলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন এবং অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছেন। 


আরএক্স/