প্রেমের টানে নেপালের তরুণী ময়মনসিংহে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রেমের টানে নেপালের তরুণী ময়মনসিংহে

একজন বাংলাদেশি, অরেকজন নেপালি। টিকটকে পরিচয় তাদের। সেই থেকে ধীরে ধীরে মন দেয়া-নেয়া। এভাবেই কেটে যায় আড়াই বছর। একপর্যায়ে তারা আসেন বিয়ের সিদ্ধান্তে। কিন্তু ভিনদেশি ছেলে বলে আপত্তি তরুণীর পরিবারের। তবে তাদের ভালোবাসার মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কোনো বাধা। অবশেষে প্রেমের টানে নেপালের বংশোদ্ভূত তরুণী চলে এলেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। ভালোবাসার মানুষটিকেই করলেন বিয়ে।

গত ৭ মার্চ নেপালি কন্যা অনুদেবী ভুজেল পলাশ পালের হাত ধরে চলে আসেন বাংলাদেশে। এরপর ১০ মার্চ পলাশের বড় বোন চিত্রনায়িকা জ্যোতিকা জ্যোতি ঢাকায় তাদের বিয়ের আয়োজন করেন। শনিবার (১২ মার্চ) ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নের হতিহর গ্রামে বরের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠিত হয় তাদের। তাদের শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে আসলেন স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও এলাকাবাসী।

অনুদেবী ভুজেল নেপালের বংশোদ্ভূত। তার জন্ম ভারতের পশ্চিম বঙ্গের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি এলাকায়। অনুদেবীর বাবা ভারতে চাকরি করার সুবাদে সেখানেই বসবাস করতেন। তবে দাদির বাড়ি নেপালে।

পলাশ পাল ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নের হতিহর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিতাই চন্দ্র পাল ও পূর্ণিমা রাণী পাল দম্পতির ছেলে এবং চিত্রনায়িকা জ্যোতিকা জ্যোতির ভাই।

পলাশ পেশাগত কারণে সিঙ্গাপুরে যান কয়েক বছর আগে। সেখানে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় নেপালি কন্যা অনুদেবী ভুজেলের সঙ্গে। অনুদেবীও সিঙ্গাপুরের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন।

এ বিষয়ে পলাশ পাল বলেন, ‌‘গত ৬ বছর সিঙ্গাপুরের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতাম। সেখানে টিকটকে পরিচয় হয় নেপালের অনুদেবী ভুজেলের সঙ্গে। সেও সিঙ্গাপুরের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেই পরিচয় থেকেই আমাদের কথা বলা শুরু। এরপর ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এভাবে আড়াই বছর প্রেম করার পর একসময় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। প্রথমে অনুদেবীর পরিবার প্রথমে আপত্তি করলেও পরে মেনে নেন। আমরা দেশে ফিরে বিয়ে করি।’

কনে অনুদেবী বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরির সময় টিকটকে পরিচয় হয় পলাশের সঙ্গে। তখনই তাকে আমার খুব পছন্দ হয়। তাই পলাশকেই জীবনসঙ্গী করে নিলাম। এছাড়া ওর বাবা-মা অনেক ভালো। আমাকে ওরা আপন করে নিয়েছে। নিজের মেয়ের মতোই আমাকে আদর করে।’

পলাশের মা পূর্ণিমা রাণী পাল বলেন, ‘আমাদের ছেলে তাকে পছন্দ করেছে। কনেকে আমাদের পছন্দ হয়েছে। সে খুব ভালো মনের মানুষ। ইতোমধ্যেই সেই সবাইকে আপন করে নিয়েছে।’

অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘আমরা চার ভাই বোনের মধ্যে পলাশ সবার ছোট। অনুদেবীকে পছন্দের বিষয়টি আগে থেকেই আমাকে জানিয়েছিল। পলাশ চেয়েছিল তাকে বিয়ে করবে, তাই হয়েছে। বিয়ের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সফল পরিণয় ঘটেছে।’

এসএ/