ধানক্ষেত নয় যেন জাতীয় পতাকা!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ধানক্ষেত নয় যেন জাতীয় পতাকা!

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শেরপুরে জাতীয় পতাকার আদলে সবুজ ও বেগুনী ধানের আবাদে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে আলোড়ন। শিল্পীর রং-তুলির আঁচড়ে নয়, ফসলের খেতে সবুজ-বেগুনি ধানের চারা লাগিয়ে জাতীয় পতাকার আদলে  ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জাতীয় পতাকার রূপ,আর এই কাজটি করেছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী।  

তিনি নিজের ফসলের মাঠে সবুজ ও বেগুনি ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। ওই ব্যতিক্রমী ধান ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার কৌতুহলী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ থমকে দাঁড়িয়ে জানার চেষ্টা করছেন, এটি কি ধান? ধানের এমন অবস্থাই বা কী করে হলো? আবার অনেকেই তুলছেন সেলফি।

শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‌‘ইউটিউবে বেগুনি রঙের ‘পার্পল লিফ রাইস’ নামের ধান চাষের একটি ভিডিও দেখে গত বছর বেগুনি ধানের বীজ সংগ্রহ করে অল্প জমিতে রোপন করি। পরে সেই ধানের ভালো ফলন হয়। তাই এবার  ৫০ শতক (দশ) কাঠা জমিতে এ ধান চাষ করেছি। তবে পরিকল্পিতভাবে ধানক্ষেতের চারপাশে সবুজ রঙের ধান আর মাঝখানে বেগুনি রঙের ধান রোপন করেছেন তিনি। যা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি করেছেন। দেশপ্রেম থেকেই এমন কাজ করেছেন বলে জানান তিনি।’

তিনি বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষকে স্মরনীয় করে রাখতে আমি জাতীয় পতাকার আদলে একই জমিতে দুই জাতের ধান রোপন করেছি। যেটি দূর থেকে দেখে মনে হয় জাতীয় পতাকা। সবাই প্রশংসা করছে শুনে খুব ভালো লাগছে।”

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, “দেশের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এ কাজ কোনো ভাবেই করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ধানক্ষেতটি দেখলে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়।”

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর জনবাণীকে বলেন, ‘দেশে প্রথম বেগুনি রঙের ধানের আবাদ শুরু করেন কুমিল্লার কৃষক মনজুরুল আলম। এ ধান অনেক আগের দেশীয় জাত। ঝিনাইগাতীতে আরও কয়েকজন কৃষক এ ধান করেছেন। এর ভাত ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযুক্ত। তবে জাতীয় পতাকার আদলে ধানক্ষেত করে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছেন ওই শিক্ষক।’

এসএ/