খাস জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব, বাধাঁ দিলে পুলিশে দেয়ার হুমকি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


খাস জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব, বাধাঁ দিলে পুলিশে দেয়ার হুমকি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সুনামপুর সদরাবাদ এলাকায় সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। যে যার মতো মাটি কেটে নেওয়ার পাশাপাশি গভীর গর্ত করে মাটি কেটে বিক্রি করছে এক শ্রেণির মানুষ। 

শনিবার (১৯ মার্চ) সাবেক মেম্বার বাধাঁ দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে মাটি খেকোরা। এতে করে সরকারি জমি হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি কৃষি জমি ধ্বংসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আউশকান্দি ইউনিয়নের সদরাবাদ মৌজার সুনামপুর গ্রামের কাছে বরাক নদীর তীরে সরকারী খাস জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে আনসাদ মিয়া, রফিক মিয়া, বাবুল মিয়া গংরা। স্থানীয় লোকজন বাঁধা দিলে তারা পুলিশের ভয় দেখিয়ে বলে আমাদের উপর মহলে লোক আছে তোদের ভালো হবে না। সরকারী জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি করে মাঠি অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে। এক্সলেটর মেশিন দিয়ে ট্রলি প্রতি আড়াই শ টাকা করে মাটি বিক্রি করছেন। 

জানতে চাইলে আনসাদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘তার নিজ বাড়ির গর্ত ভরাটের জন্য মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। সবাই নিয়ে যাচ্ছেন তাই তিনিও নিচ্ছেন। রফিক মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, দুই বছর আগে ব্যক্তি মালিকের কাছ থেকে তিনি এই জমি কিনেছেন। নিজের জমিতে মাছ চাষের জন্য গর্ত করে মাটি কেটে বিক্রি করছেন।’ 

আউশকান্দি ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তা আবু বকর  জানান, ‘ঐ এলাকায় প্রচুর  সরকারি খাস জমি রয়েছে। মৌখিকভাবে মাটি কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। না শুনলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সুনামপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মুজিবুর রহমান শামসুল বলেন, ‘আমি এসব সরকারী জায়গায় মাটি কাটার কাজে বাধাঁ দিলে আনসাদের দুলাভাই মুকিত মেম্বার আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবে হুমকি প্রদান করেন। সরকারী জায়গা রক্ষার জন্য কেন আমি এসিল্যান্ড সাবকে জানালাম তার জন্য আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ও পুলিশে দেয়ার হুমকি দিয়ে মাটি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’ 

আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলাওয়ার হোসেন জানান, ‘সরকারি সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ভূমি অফিসের। শুধু সদরাবাদ এলাকায় নয় আউশকান্দি ইউনিয়নে প্রচুর সরকারি খাস জমি রয়েছে। যার বেশির ভাগ জমি সম্পদশালীরা দখল করে রেখেছে। প্রশাসনকে মৌখিকভাবে বলার পাশাপাশি লিখিতভাবে জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’ 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ জানান, ‌‘এ বিষয়ে গুরুত্বের সাথে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি জেনেছি দুবৃত্তচক্র যতই শক্তিশালী হউক না কেন সরকারী মাটি নিতে পারেনা আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এসএ/