বৃহস্পতিবার থেকে সেন্টমার্টিনে পণ্য আনা-নেওয়া শুরু

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্ট থেকে গুলিবর্ষণের গত ৭ দিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌ যান চালাচল বন্ধ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে খাদ্যপন্য সংকটের দিকে যাচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে পণ্য আনা নেওয়া এবং সীমিত আকার যাত্রী আসা যাওয়া শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে।

বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যা ৭ টার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে নিহত ১

তিনি জানিয়েছেন, গুলি বর্ষণের ঘটনায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌ যান চালাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপে খাদ্য পণ্য সংকট তৈরি হচ্ছে। একই সাথে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রী আসা-যাওয়া বন্ধ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে বিকল্প পথ কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়ার জেটি ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে পন্যবাহী ট্রলার যাবে সেন্টমার্টিনে। একই সঙ্গে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ হয়ে নতুন চ্যানেলে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সীমিত আকারে যাত্রী আসা যাওয়া শুরু হবে।

দ্বীপের বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, টেকনাফের নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে মিয়ানমারের অজ্ঞাত একটি অস্ত্রধারি গোষ্ঠি। যে গোষ্ঠিটি কোনভাবেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে ট্রলার বা স্পীড বোট চলাচল করতে দিচ্ছে না। ওই রুটে ট্রলার বা বোট দেখার সাথে সাথেই গুলি বর্ষণ করছে।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরএসও সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা

মঙ্গলবার (১১ জুন) গুলিবর্ষণ করা হয় ৫ জন যাত্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে যাওয়া একটি স্পীড বোটকে লক্ষ করে। এর আগে ৫ জুন সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের বহনকারী নৌযানে গুলিবর্ষণ করে মিয়ানমার থেকে। ৮ জুনও পণ্যবাহী একটি ট্রলারে আবারও গুলি করে। এতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারটিতে গুলি লাগে।

একের পর এক মিয়ানমারের গুলিবর্ষণ ঘটনায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে বন্ধ রয়েছে সার্ভিস ট্রলারসহ নৌযান চলাচলও। যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ও অসুস্থ অনেক রোগীকে সেন্টমার্টিন থেকে আসা যাওয়া বন্ধ রয়েছে।

এমএল/