কক্সবাজার স্থলবন্দরে পাঁচ দিনের ছুটি

বুধবার (১৯ জুন) বন্দর দিয়ে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে
বিজ্ঞাপন
মুসলমানদের ধর্মীয় প্রধান উৎসব ঈদুল আযহা উপলক্ষে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে পাঁচদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে মঙ্গলবার (১৮ জুন) পর্যন্ত বন্দরের সবধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দুই দেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার বি এম আব্দুল্লাহ আল মাসুম।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত বন্দরের সবধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বন্দরে থাকা পণ্যসামগ্রীর উসুল আদায় করা থাকলে সেসব পণ্যসামগ্রী বিশেষ ব্যবস্থায় বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরবরাহের সুব্যবস্থা রাখা আছে। বুধবার (১৯ জুন) বন্দর দিয়ে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।’
বিজ্ঞাপন
স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্টানের সংগঠন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, ‘দেশে ডলার সংকট ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে পণ্য আমদানি-রপ্তানি অনেক কমে গেছে। এরই মাঝে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উপলক্ষে পাঁচদিনের জন্য বন্দর ছুটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার’।
বিজ্ঞাপন
সাধারণ সম্পাদক ও টেকনাফ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, দীর্ঘ চার মাস ধরে মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাত চলছে। ইতোমধ্যে মংডুর উত্তর-দক্ষিণের কয়েকটি সীমান্তচৌকি ও পূর্ব দিকের রাচিডং টাউনশিপসহ ১৪টির বেশি সীমান্তচৌকি ও পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। কয়েকদিন ধরে মংডু টাউনশিপ দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে আরাকান আর্মি। আরাকান আর্মির অবস্থান ধ্বংস এবং দখল করা চৌকিসমূহ পুনরুদ্ধার ও এলাকাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া দেশটির সেনাবাহিনী। এজন্য সংঘাত বেড়েই চলছে। মাঝে মধ্যে বিমান ও হেলিকপ্টার থেকেও মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এর ফলে স্থলবন্দরের থেমে থেমে পণ্য সামগ্রী ভর্তি জাহাজ ও ট্রলার আসাও আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: টেকনাফে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের টেকনাফের মহা-ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি ছুটি সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় মালামাল স্থলবন্দর থেকে সরবরাহের জন্য শ্রমিক মজুদ রাখা আছে।’
বিজ্ঞাপন
এমএল/








