কক্সবাজার স্থলবন্দরে পাঁচ দিনের ছুটি
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮:০৯ অপরাহ্ন, ১৩ই জুন ২০২৪
মুসলমানদের ধর্মীয় প্রধান উৎসব ঈদুল আযহা উপলক্ষে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে পাঁচদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে মঙ্গলবার (১৮ জুন) পর্যন্ত বন্দরের সবধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দুই দেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার বি এম আব্দুল্লাহ আল মাসুম।
তিনি বলেন, ‘কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত বন্দরের সবধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বন্দরে থাকা পণ্যসামগ্রীর উসুল আদায় করা থাকলে সেসব পণ্যসামগ্রী বিশেষ ব্যবস্থায় বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে সরবরাহের সুব্যবস্থা রাখা আছে। বুধবার (১৯ জুন) বন্দর দিয়ে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর হয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ যান চলাচল শুরু
স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্টানের সংগঠন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, ‘দেশে ডলার সংকট ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে পণ্য আমদানি-রপ্তানি অনেক কমে গেছে। এরই মাঝে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা উপলক্ষে পাঁচদিনের জন্য বন্দর ছুটি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার’।
সাধারণ সম্পাদক ও টেকনাফ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, দীর্ঘ চার মাস ধরে মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাত চলছে। ইতোমধ্যে মংডুর উত্তর-দক্ষিণের কয়েকটি সীমান্তচৌকি ও পূর্ব দিকের রাচিডং টাউনশিপসহ ১৪টির বেশি সীমান্তচৌকি ও পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। কয়েকদিন ধরে মংডু টাউনশিপ দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে আরাকান আর্মি। আরাকান আর্মির অবস্থান ধ্বংস এবং দখল করা চৌকিসমূহ পুনরুদ্ধার ও এলাকাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া দেশটির সেনাবাহিনী। এজন্য সংঘাত বেড়েই চলছে। মাঝে মধ্যে বিমান ও হেলিকপ্টার থেকেও মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এর ফলে স্থলবন্দরের থেমে থেমে পণ্য সামগ্রী ভর্তি জাহাজ ও ট্রলার আসাও আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের টেকনাফের মহা-ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি ছুটি সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বিশেষ ব্যবস্থায় মালামাল স্থলবন্দর থেকে সরবরাহের জন্য শ্রমিক মজুদ রাখা আছে।’
এমএল/