লক্ষ্মীপুরে মৎস্য খাতে ক্ষতি প্রায় ৮০ কোটি

লক্ষ্মীপুরের গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে প্রায় ৪০ হাজার পুকুর ভেসে গেছে
বিজ্ঞাপন
লক্ষ্মীপুরের গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে প্রায় ৪০ হাজার পুকুর ভেসে গেছে। এতে পুকুরের মাছ সব বের হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য চাষীরা। এ কয়েকদিনেই জেলাব্যাপী মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণ করছে মৎস্য বিভাগ। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, জেলাতে প্রায় ৫৪ হাজার পুকুর রয়েছে। এরমধ্যে ৪০ হাজার পুকুরের ৯০ শতাংশ ভেসে মাছ বের হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
তলিয়ে গেছে ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর মাছ চাষের জলাশয়। এতে মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। যার পরিমাণ ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার মতো হতে পারে। মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, যেভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, এতে আরও পুকুর ভেসে যেতে পারে। তাই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। সরেজমিনে ঘুরে এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৎস্য চাষীদের পুকুর ডুবে যাওয়ায় চাষের মাছ বের হয়ে গেছে। মাছগুলো খাল-বিলে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জাল বা বিভিন্ন ফাঁদের সাহায্যে মাছ শিকার করছেন। রামগঞ্জ উপজেলা পশ্চিম বিঘার মৎস্য চাষীশাহাদাত হোসেন, সৈয়দ মাসুদ, ইউসুফ, শামীমসহ কয়েকজন জানান, তাদের এলাকায় প্রায় তিনশ পুকুর, মাছের ঘের, জলাশয় ভেসে কোটি টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একই উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক মাহমুদ ফারুক জানান, টানা বর্ষণে শত শত পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে গেছে। পুকুরে থাকা বড় এবং মাঝারি আকৃতির রুই, কাতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উপজেলার হাজীগঞ্জ বিরেন্দ্র খালে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্য চাষীরা। সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মৎস্য চাষী নুরুল আমিন জানান, তার তিনটি পুকুর ভেসে গেছে। এতে বেশিরভাগ মাছ বের হয়ে যায়। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন তিনি। মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেন জানান, তাদের এলাকার সবগুলো পুকুর ভেসে গেছে। পুকুরের মাছগুলো আশপাশের জলাশয় এবং খাল-বিলে ছড়িয়ে পড়ছে। চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হলেও মৎস্য শিকারীরা বিভিন্ন উপায়ে মাছ শিকার করছেন।
বিজ্ঞাপন
এসডি/








