শেখ হাসিনা খোলা মাঠে নেতাকর্মীদের রেখে দেশ থেকে পালিয়েছে: সারজিস
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, ১৬ই নভেম্বর ২০২৪
‘নেতাকর্মীদের খোলা মাঠে রেখে হাসিনা ভয়ে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাসমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
এ সময় তিনি বলেন, আমরা দেখেছি বিগত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগ কিভাবে বিএনপি জামায়াতসহ অন্য দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যে মামলা দিয়েছে, গুম, খুন ও নির্যাতন করেছে। ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা প্রশাসনকে অপব্যবহার করে যে কাজগুলো করেছে এর ফল কি হতে পারে তা ১৬ বছর পর স্বচক্ষে দেখিয়েছে। যেই নেতাকর্মীরা তার উপর এতো ভরসা করতো তাদেরকে খোলা মাঠে রেখে ভয়ে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা আছে। এই শিক্ষাটা আমাদের নিতে হবে। এই একই কাজ যেন এখন থেকে আমরা না করি। যারা ভালো, ভালো কাজ করেছে, কোন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো না তারা যে দলেরই হোক তাদের সাথে যেন নতুন করে অন্যায় না হয়। আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা যদি একই কাজ করে তাহলে এক দলের সাথে আরেক দলের কামড়াকামড়ি যাবে না। সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা সেটা কোনদিন স্টাবলিস হবে না। হাসিনার কোন দোসর যদি বিগত সময়ে অন্যায়, অত্যাচার ও অপকর্ম করে থাকে তাদের আইনগতভাবে যে শাস্তি হওয়া দরকার সেটিই যেন হয়। একইভাবে কোন নির্দোষ মানুষ কোনভাবে এখন যেন কারো দ্বারা অন্যায়ের শিকার না হয়। সৃষ্টিকর্তা ও প্রকৃতির একটি ন্যাচারাল রিভেঞ্জ আছে। যেটা শেখ হাসিনা এখন পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি আমাদের পারস্পারিক যে শ্রদ্ধাবোধ সেটি থাকা উচিত। কেউ একজন অন্য দল করে বলে সে আমার শত্রু এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ভালো কাজ করলে সে যে দলেরই হোক তার সুনাম করবো। কারো কাজ খারাপ হলে তার সমালোচনা করবো সে যে দলেরই হোক। উত্তরবঙ্গের মানুষ ভালো, মন মানসিকতা ভালো। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সামান্য কিছুতেই আমাদের মধ্যে প্রচুর মনোমালিন্য প্রচুর বিভাজন। এই জিনিসটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো: তারেক রহমান
মাদকের সাথে যারাই যুক্ত থাকবে, তার পেছনে যেই থাকুন না কেন, সে যত বড়ই কিছুই হোক না কেন, যেই পদধারী হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সব শেষে তিনি বলেন, আমাদের এই মেলা চিত্ত বিনোদনের একটা জায়গা হোক। কিন্তু মেলার কোন একটি উপকরণ যেন তরুণ সমাজকে বিপথে না নেয় এবং বিপথে নিতে প্ররোচিত না করে। এমন উপকরণ থাকা যাবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও মেলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএক্স/